তিনি নিজে দিল্লির নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন। তাঁর দল আম আদমি পার্টি আর দিল্লিতে ক্ষমতায় নেই। যেটুকু সলতে টিম টিম করে জ্বলছে সেটা পঞ্জাবে। দিল্লির বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল আপ। অন্যান্য রাজ্যে তেমন সংগঠন গড়ে ওঠেনি। তার মধ্যে আম আদমি পার্টির বিধায়ক থেকে নেতারা যে কোনও মুহূর্তে ভিড়ে যেতে পারে বিজেপিতে। এমন আশঙ্কাও রয়েছে। এই আবহে দলকে বাঁচানো এবং পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে কোন পথ ধরতে হবে? অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে এটাই এখন বড় প্রশ্ন। আর তাই এখন তিনি বাংলায় আসতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।
বাংলায় এসে কী হবে? অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ রাজনৈতিক চড়াই–উতরাই পেরিয়ে আজ শাসন ক্ষমতায় আসীন। বামফ্রন্ট সরকারের মতো রেজিমেন্টেড দলকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসা এবং তিন বার সরকার টিকিয়ে রাখার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া রুখে দিতে পেরেছেন তিনিই। গোটা দেশের মধ্যে বিজেপি বিরোধিতায় নেমে সফল হয়েছেন একমাত্র তৃণমূল সুপ্রিমোই। তাই বাংলায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে চান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ভাঙড়ে, অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার
একজন সাংসদ থেকে নিজের তৈরি করা দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা এবং টিকিয়ে রাখা সহজ ব্যাপার ছিল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তবে কাজটা কঠিন হলেও তিনি পেরেছেন। সাতবার সাংসদ হয়েছেন। দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর তিনবারের বিধায়ক হয়ে মু্খ্যমন্ত্রী পদে আসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং রাজ্য–রাজনীতির অভিজ্ঞতা তাঁর বিপুল। ক্ষমতায় আসা এবং ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়া—এমন নানা ঘটনার সাক্ষী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং এখন আম আদমি পার্টির কী করণীয় সেটা নিয়েই বৈঠক করতে আসছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাছাড়া কেজরিওয়ালের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক মধুর। তাই দিদির কাছে আসছেন ভাই কেজরিওয়াল বলে সূত্রের খবর।