প্রতি ৫ বছর অন্তর ট্যাক্স জমা দিতে হয়। কিন্তু অনেক গাড়ির মালিক সেই নিয়ম মেনে ট্যাক্স জমা করছেন না। যার ফলে বকেয়া বাড়ছে। এমনকী গাড়ির দূষণ, ইন্সুরেন্সের ক্ষেত্রেও বাড়ির গাড়ির মালিকরা গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় ট্যাক্স ছাড় দেওয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করছে পরিবহন দফতর।
তিন বছরে বকেয়া সিএফের পরিমাণ ৪৩ কোটি টাকা।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাতে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। তাই দুর্ঘটনা কমানোর জন্য গাড়ির সিএফ (সার্টিফিকেট অফ ফিটনেস) করার ওপরেই জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এখনও বহু গাড়ি রয়েছে যেগুলির বছরের পর বছর ফিটনেস সার্টিফিকেট নেওয়া হয়নি। বিশেষ করে বেসরকারি বাসে এই সংখ্যাটা বেশি। তারফলে দেখা যাচ্ছে কোনও বাসের সিট ভাঙা, কোনও বাসের জানলা ঠিক নেই আবার কোনও বাসের রিসোল করা টায়ার। তা নিয়ে দিনের পর দিন যাত্রী বোঝাই করে চলেছে এই সময় বাসগুলি। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। আর সিএফ না করার ফলে পরিবহণ দফতরের ভাঁড়ারে টাকাও জমা পড়ছে না।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২১ অর্থবর্ষে গাড়ির বকেয়া সিএফ ছিল ১৬.৭১ কোটি টাকা। ২০২১–২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২২ কোটি টাকা আর ২০২২–২৩ অর্থবর্ষে সেই বকেয়া বেড়ে হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা। এই সংখ্যাটা বকেয়া সিএফ এবং জরিমানা মিলিয়ে বেসরকারি বাস, মিনি বাস, পুলকার, ট্রাক, ছোট হাতি, স্কুল বাস এই সমস্ত গাড়িগুলির অনেক মালিকই সিএফ জমা করেনি বলে জানা যাচ্ছে। তারপর সরকার নির্দেশিকা জারি করেছে সিএফ করানোর সময় গাড়িতে লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস বসাতে হবে। ফলে সেই ভয়ে অনেকে সিএফ করাতে আসছে না। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছরে বকেয়া সিএফের টাকা ৫০ কোটি হয়ে গিয়েছে। তার ওপর ট্যাক্সও জমা পড়ছে না। যার পরিমাণ প্রায় কয়েকশো কোটি টাকা। কিন্তু, সেই টাকা পাচ্ছে না পরিবহণ দফতর। নিয়ম বলছে, প্রতি ৫ বছর অন্তর ট্যাক্স জমা দিতে হয়। কিন্তু অনেক গাড়ির মালিক সেই নিয়ম মেনে ট্যাক্স জমা করছেন না। যার ফলে বকেয়া বাড়ছে। এমনকী গাড়ির দূষণ, ইন্সুরেন্সের ক্ষেত্রেও বাড়ির গাড়ির মালিকরা গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় ট্যাক্স ছাড় দেওয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করছে পরিবহন দফতর।