রাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পরপর ট্রাকে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। নিউ আলিপুর থানার চার সাব-ইনস্পেক্টরের (এসআই) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুর এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ওই চার পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে লালবাজার। শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। (আরও পড়ুন: কসবা ধর্ষণে অভিযুক্ত মনোজিতের 'অনুপ্রেরণা' গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই!)
আরও পড়ুন: হাওড়া ব্রিজে তোলাবাজির অভিযোগ, সাসপেন্ড দুই পুলিশ, বরখাস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার
আরও পড়ুন: ঋতুস্রাব হচ্ছে কিনা তা দেখতে স্কুলে নগ্ন করা হল ছাত্রীদের, ধৃত প্রিন্সিপাল
ঘটনাস্থল নিউ আলিপুর রেলওয়ে স্লাইডিংয়ের সংলগ্ন এলাকা। অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই রাত নামলেই এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা বহু ট্রাকের দিকে চড়াও হচ্ছিলেন কিছু পুলিশকর্মী। চালকেরা যখন ঘুমিয়ে থাকতেন, তখন তাঁদের ট্রাকে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হত বলে দাবি। ভেঙে ফেলা হয়েছে একাধিক ট্রাকের কাচ। এমনকি, চালকদের ঘুম ভেঙে তুলে গায়ে হাত তোলারও অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে ট্রাক চালকদের সংগঠন ‘নিউ আলিপুর লরি অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, টানা কয়েক রাত ধরেই চালকেরা একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন। মঙ্গলবার রাতে তা চরম আকার নেয়। এক চালক জানান, প্রতি রাতেই ১১টা বা ১২টা নাগাদ পুলিশ যায়। কেউ মদ্যপ অবস্থায় থাকে, কেউ ট্রাকের কাচ ভাঙে, আবার কেউ ঘুমন্ত চালককে টেনে নামিয়ে মারধর করে। দূরদূরান্তের চালকরা ট্রাকেই থাকে। সেখানে ঢুকে এ ভাবে মারধর করলে তাঁদের যাওয়ার কোনও জায়গা নেই। (আরও পড়ুন: দিল্লি গিয়েও মমতা বন্দনায় দিলীপ, 'দলত্যাগ' নিয়ে বিস্ফোরক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি)
আরও পড়ুন: ভারতকে 'বিবেক ও নৈতিকতার' পাঠ পড়াতে এল ইউনুসের বাংলাদেশ
আরও পড়ুন: বেজায় চটেছেন মহুয়া, এবার 'শ্বশুরবাড়ি' বয়কটের হুঁশিয়ারি মহুয়ার
তবে চালকদের দাবি, এ ঘটনায় টাকা-পয়সা দাবি করা হয়নি। এক অভিযোগকারীর কথায়, এটা তোলা আদায়ের জন্য নয়। এরা এমনি এমনি প্রতিদিন আসে, ভাঙচুর করে, ভয় দেখায়। হয়তো নিজেদের ক্ষমতা দেখাতেই এসব করছে। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন চালকেরা। অবশেষে তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর লালবাজার তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্ত চার এসআইকে চিহ্নিত করে। তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রত্যেককেই। দক্ষিণ বিভাগের ডিসি জানিয়েছেন, কেন এই আচরণ করা হল, আদৌ অভিযুক্তেরা দোষী কি না, সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।