নিউ টাউনের রাস্তায় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছিল প্যানিক বাটন। কিন্তু, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এখনই এই সমস্ত প্যানিক বাটন চালু করা যাচ্ছে না। তারওপর শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করার দাবি জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। বিশেষ করে সম্প্রতি এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে রিকশা চালকের বিরুদ্ধে। তারপরেই এই দাবি জোরদার হয়েছে। সেই কারণে নিউ টাউনের নিরাপত্তার জন্য আপাতত সিসিটিভির উপরেই ভরসা করতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এই লক্ষ্যে শহরজুড়ে আরও ৩০০টি সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)।
আরও পড়ুন: মজা করতে প্যানিক বাটন! তিতিবিরক্ত পরিবহণ দফতর, এবার হবে জরিমানা
সূত্রের খবর, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই ৩০০টি সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই নিউ টাউনে রয়েছে প্রায় ১,০০০ ক্যামেরা। ফলে ৩০০টি ক্যামেরা সংযুক্ত হলে তার সংখ্যা বেড়ে ১৩০০ হয়ে যাবে। মূলত যে সমস্ত এলাকা এখনও সিসিটিভি নজরদারির বাইরে রয়েছে বা যেখানে অপরাধ হওয়ার প্রবণতা বেশি সেই সমস্ত এলাকাতেই এইসব সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্যানিক বাটন বসানোর ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তিগত যে জটিলতা রয়েছে, সেই সমস্যাও সমাধান করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, নিউ টাউনের এক নম্বর অ্যাকশন এরিয়াজুড়ে প্যানিক বাটন বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল চার বছর আগে। স্মার্ট সিটি মিশন প্রকল্পের আওতায় ওই এলাকায় প্রায় ৪০০টির মতো প্যানিক বাটন বসানো হয়েছে। তবে সমস্যার কারণে সেগুলি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।
কিন্তু, কেন কাজ করছে না প্যানিক বাটন?
এনকেডিএ’র বক্তব্য, যে ডঙ্গলের মাধ্যমে এইসব প্যানিক বাটন সংযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, সেই পদ্ধতি কাজ করেনি। এই অবস্থায় ফাইবার অপটিক কেবলের সঙ্গে যুক্ত করে প্যানিক বটন চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও সেই কাজ কতদিনে সম্পন্ন হবে বা কতটা সময় লাগবে? তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না কেউই।
নিউ টাউনের বাসিন্দাদের সংগঠন নিউ টাউন সিটিজেন্স ওয়েলফেয়ার ফ্রেটারনিটির বক্তব্য, অনেক রাস্তায় নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। ফলে প্যানিক বাটন চালু হলে খুব ভালো হবে। এনকেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তায় বেরিয়ে কেউ সমস্যায় পড়লে প্যানিক বাটন টিপলেই সাহায্য পাবেন। পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌঁছে যাবে। যদিও এক আধিকারিকের বক্তব্য, দেশের মধ্যেও কোথাও এখনও এই ব্যবস্থা নেই। এটি মূলত কেন্দ্রীয় প্রকল্প হলেও এনকেডিএকেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তার জন্য চেষ্টা চলছে।