শুধু একটি ভুল ওষুধ। আর তাতেই জীবন কেড়ে নিল গর্ভস্থ শিশুর। মায়ের জীবন এখন সংকটে। অভিযোগ, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে যে ওষুধ লেখা ছিল তার বদলে অন্য ওষুদ দেওয়া হয়েছিল। আর সেই কারণে শিশুর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সংলগ্ন ‘নায্য মূল্যের ওষুধের দোকান’-র বিরুদ্ধে। কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল সংলগ্ন ওই ওষুধের দোকানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের মধ্যে হুল্লোড়! NRS-এ ডিজে বাজিয়ে উদ্যাম নাচ ‘বাম ঘেঁষা চিকিৎসকদের’
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। পানিহাটির ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমিশা মাহাতো সিং, দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশনে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ লেখেন। সেই প্রেসক্রিপশন নিয়েই হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে যান আমিশার পরিবারের সদস্যরা।
অভিযোগ, সেখানে দোকানের কর্মী সঞ্জয় দে প্রেসক্রিপশনের বাইরে একটি ভিন্ন ওষুধ দেন, যেটি চিকিৎসক লিখে দেননি। পরিবারের দাবি, প্রেসক্রিপশন দেখিয়েই ওষুধ কেনা হয়েছিল। কিন্তু, সেই ওষুধ খেয়ে ফেলেন আমিশা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভোর রাতে তাঁর শরীর থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। উদ্বিগ্ন পরিবার ফের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসকদের প্রশ্নে তখন আমিশা ও তাঁর পরিবার দেখান সেই ওষুধের পাতা ও প্রেসক্রিপশন। তারপরই চমকে ওঠেন চিকিৎসকেরা। তৎক্ষণাৎ ইউএসজি করে দেখা যায়, গর্ভস্থ শিশুর আর কোনও প্রাণ নেই। মাত্র দু’মাসের সন্তানই মায়ের শরীরে মৃত অবস্থায় রয়েছে। আর মায়েরও শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
পরিবারের তরফে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে কামারহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্ত ওষুধের দোকান কর্মী সঞ্জয় দে এবং দোকান পরিচালনাকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। তাঁদের বক্তব্য, প্রেসক্রিপশন দেখানো হয়েছিল। কিন্তু সেই অনুযায়ী ওষুধ না দিয়ে অন্য কিছু ধরিয়ে দিয়েছে। তারপরেই এই ঘটনা। এই ঘটনার পর ওষুধ দোকানের তরফে কোনও মন্তব্য মেলেনি।