মামলার শুনানিতে উঠে আসে এদের মধ্যে একজন এলাকার স্বীকৃত এক দুষ্কৃতীর স্ত্রী। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, একজন চিহ্নিত দুষ্কৃতীর স্ত্রীকে কেন বিবেচনার মধ্যে রাখা হয়েছে? জবাবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, ‘স্বামী দুষ্কৃতী হলে স্ত্রী ডিলারশিপ পেতে পারেন না এমন কোনও আইন নেই।’
রেশনের ডিলারশিপ বা বেসরকারি স্কুলের অনুমোদন দেওয়ার আগে বিবেচনা করতে হবে মালিক বা তাঁর কোনও ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বীকৃত সমাজবিরোধী কি না। রাজ্য সরকারের সওয়াল খারিজ করে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রেশন দোকানের ডিলারশিপ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর গ্রামের এক বাসিন্দা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে এলাকায় একটি রেশন দোকান খোলার নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানান। মামলাকারীর দাবি, তাঁর বাসস্থান থেকে নিকটবর্তী রেশন দোকানের দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার। ফলে নিয়মিত রেশন আনতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁকে। সঙ্গে তিনি এও জানান, ওই এলাকায় রেশন ডিলারশিপ নিতে ৪ জন আবেদন করেছেন বলেও জানান তিনি। মামলার শুনানিতে উঠে আসে এদের মধ্যে একজন এলাকার স্বীকৃত এক দুষ্কৃতীর স্ত্রী। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, একজন চিহ্নিত দুষ্কৃতীর স্ত্রীকে কেন বিবেচনার মধ্যে রাখা হয়েছে? জবাবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, ‘স্বামী দুষ্কৃতী হলে স্ত্রী ডিলারশিপ পেতে পারেন না এমন কোনও আইন নেই।’
এর পর ভিনরাজ্যের একটি হাইকোর্টের এক মামলার উদাহরণ দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, সেখানে এক দুষ্কৃতীর আত্মীয়কে বেসরকারি স্কুলের অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্য সরকার। যার জেরে ব্যাপক গণবিক্ষোভ তৈরি হয়। সরকারের এই ধরণের পদক্ষেপে প্রশানের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যায়। পরবর্তীকালে রেশন ডিলারশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যেন আদালতের এই নির্দেশ মাথায় রাখে।