গত সোমবার বড়সড় রেল দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের রাঙাপানি স্টেশনের কাছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। অনেকেই প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। আবার আহত রয়েছেন বহু যাত্রী। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল দুই মহিলার। বুধবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসির পারাজ রেল স্টেশনে। যার জেরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রেল পুলিশ ও গলসি থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনা নিয়ে রেল বোর্ডের দাবি কতটা যুক্তিসঙ্গত? ক্রমেই ঘনীভূত রহস্য
জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে। এরপরেই ট্রেনে কাটা পড়া দুই মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করে জিআরপি এবং গলসি থানার পুলিশ। শেষে দুই মহিলার পরিচয় পুলিশ জানতে পেরেছে।পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত্য দুই মহিলার নাম হল মানু বাউড়ি, তাঁর বয়স আনুমানিক ৪৯ বছর এবং তপি বাউড়ি, তাঁর বয়স ৪৬- এর কাছাকাছি। তাদের দু’জনেরই বাড়ি গলসির কোলকোল গ্ৰামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ওই দুই মহিলার দেহ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রেল লাইনের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন অন্যান্য যাত্রীরা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় রেল পুলিশ। তারা দুই মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। তবে কীভাবে তারা দুজনে একসঙ্গে ট্রেনে কাটা পড়লেন তা কেউই দেখেননি।
সম্রাট বাউড়ি নামে স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এদিন তিনি বাইরে কাজে গিয়েছিলেন। তবে তিনি জানতে পারেন যে গ্রামের দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে তিনি স্টেশনে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন গ্রামে দুই মহিলা ট্রেনে কাটা পড়ে রয়েছেন। যদিও কী কারণে এমন ঘটনা তা জানা যায়নি। তবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানুর স্বামী রয়েছে। তাঁর নিজস্ব সংসার রয়েছে। তাঁর স্বামী বাইরে কাজ করেন। অন্যদিকে, তপি বাউড়ি অবিবাহিতা। তাঁরা তিন বোন। তিনি হলেন মেজো বোন। এদিন দুই মহিলার ট্রেনে কাটা পড়াকে কেন্দ্র করে সেখানে ছুটে আসেন গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিড় জমে স্টেশনে। এটি কোনও দুর্ঘটনা, নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই জানা যাবে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ।