কর্শিয়াংয়ে প্রায় আট দশকেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল টয় ট্রেনের ইঞ্জিন বা কামরা ঘোরানোর ঐতিহ্যবাহী ‘টার্ন টেবল’। সেটি আবার ঘুরতে শুরু করেছে। প্রায় ৪ মাস ধরে কাজ করার পর এই টার্ন টেবল মেরামত করা সম্ভব হয়েছে। এরফলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই টয় ট্রেনের ইঞ্জিন বা কামরা ১৮০ ডিগ্রি ঘোরানো সম্ভব। তবে এখনও পরীক্ষামূলকভাবে কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, দার্জিলিং স্টেশনে একই রকম একটি টার্নটেবল চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে টয়ট্রেনের সঙ্গে ফের ধাক্কা গাড়ির
দার্জিলিং হিমালয়ান রেল (ডিএইচআর) সূত্রে খবর, ব্রিটিশ আমলে এই টার্ন টেবল তৈরি হয়েছিল। ১৯৪৩ সাল থেকে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে কর্শিয়াংয়ের এই টার্নটেবলটি, অর্থাৎ এটি ৮১ বছর ধরে বন্ধ। এটি চালুর ফলে শুধু সময়ই সাশ্রয় হবে না বরং জ্বালানি খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। এতদিন টার্নটেবলের অভাবে টয় ট্রেনের ইঞ্জিন বা কামরাগুলিকে লুপ লাইনের ওপর দিয়ে ঘোরানো হয়। তবে কর্শিয়াংয়ে কোনও লুপ না থাকায় কামরাগুলিকে বিপরীত দিকে ঠেলে চালানো হচ্ছিল। তবে টার্নটেবল চালুর ফলে আরও ভালোভাবে টয় ট্রেন পরিচালনা সম্ভব হবে। জটিল প্রক্রিয়া হ্রাস পাবে। এবিষয়ে ডিএইচআরের পরিচালক পরিচালক ঋষভ চৌধুরী বলেন, এই সংস্কার রেলের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার এবং সংরক্ষণের একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।
উল্লেখ্য, টার্ন টেবল হল এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে অস্থায়ী ট্রেন লাইনের উপরে ইঞ্জিন বা কামরা তুলে সেই লাইন-সহ ইঞ্জিন বা কামরা একই জায়গায় দাঁড় করিয়ে ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরানো যায়। এই ব্যবস্থা চালু হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। সেই সময় বাষ্পচালিত ইঞ্জিন ছিল। সেক্ষেত্রে ইঞ্জিন দ্রুত ঘোরানোর জন্য এই সুবিধা ব্যবহার করা হতো। এরফলে ট্রেনের ইঞ্জিন ঘোরানোর জটিলতা এবং খরচ উভয় থেকেই মুক্তি পাওয়া যেত। তাছাড়া, সময়ও অনেক কমতো। সেই ব্যবস্থা চালুর ফলে স্বাভাবিকভাবেই টয় ট্রেন পরিষেবা আরও মসৃণ হবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।