এবার আদিবাসীদের নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গেল। কারণ বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। তার মধ্যে চারজন আবার শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। অভিযোগ, এই ফেরার পর তাঁদের প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়েছে। এই চারজনকে দণ্ডি কাটতে হয়েছে বালুরঘাট শহরের রাস্তায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই নিয়ে টুইট করার ফলে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। কারণ তাঁর দাবি, আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে এমন মধ্যযুগীয় বর্বরতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, ওঁরা স্বেচ্ছাতেই এভাবে প্রায়শ্চিত্ত করছেন।
ঠিক কী ঘটেছে বালুরঘাটে? বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ, তপন বিধানসভা কেন্দ্রের কিছু তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপরই দেখা যায় ‘প্রায়শ্চিত্ত কর্মসূচি’ আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে চারজন মহিলাকে বালুরঘাট শহরের রাস্তায় দণ্ডি কাটানো হচ্ছে। এভাবেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় পর্যন্ত। তারপর ওই চারজনের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা ধরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে দণ্ডি কেটে বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরা মার্টিনা কিস্কু বলেন, ‘আমরা কাল যোগ দেওয়ার পর সারারাত ভেবেছি, আমরা কী করলাম? তখনই মাথায় আসে, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের কন্যাশ্রী দিচ্ছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছেন, তাঁকে ছেড়ে আমরা যাব না? তাই ফিরে আসি।’
ঠিক কী অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতির? এদিন একটি টুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেখানে একটি ভিডিয়ো পোস্টও করেন তিনি। আর লেখেন, ‘মার্টিনা কিস্কু, শিউলি মার্দি, ঠাকরান সোরেন এবং মালতি মুর্মু তপন গোফানগরের বাসিন্দা। তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের। তৃণমূল কংগ্রেস জোর করে তাঁদের ফেরায় এবং দণ্ডি কাটানো হয় শাস্তি হিসাবে।’ যদিও মার্টিনা কিস্কু বলেন, ‘বিজেপিতে গিয়ে আমরা পাপ করেছিলাম। আজ তার প্রায়শ্চিত্ত করলাম।’