রাজ্যজুড়ে নানা সমবায় সমিতির নির্বাচনে জিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস বা সমর্থিত সংগঠন। বিরোধীরা রীতিমতো সর্বত্র ধরাশায়ী। এবার দুই সমবায় সংস্থার নির্বাচনে জয়জয়কার দেখল তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যে রয়েছে একটি সমবায় ব্যাঙ্ক এবং একটি সমিতি। জয়নগরের সমবায় ব্যাঙ্কে এদিন নির্বাচন হয়। তবে সেখানে কোনও দলকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যায়নি। আর তাই সেখানকার ২৯টি আসনেই একজন করে মনোনয়ন পেশ করেন। এবার রবিবার দেখা গেল, ২৯ জনের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন প্রশাসন নিযুক্ত অফিসার। কদিন আগে কলকাতার ঘেঁষা গড়িয়া অঞ্চলে ‘দ্য বোড়াল ইউনিয়ন কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড’ সংস্থায় নির্বাচন হয়েছিল। সেখানে বাম– বিজেপি খাতাই খুলতে পারেনি।
তার মধ্যে আবার জয়ের আনন্দ পেল তৃণমূল কংগ্রেস। জয়নগরের সমবায় ব্যাঙ্কে কোনও দলীয় প্রতীক ছিল না। তবে এখানে এই ২৯ জনের মধ্যে ১৭ জনই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত। যার মধ্যে রয়েছেন এলাকার পুরপ্রধান সুকুমার হালদার। বাকি ১২ জন কংগ্রেস সমর্থিত। যদিও তাতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হয়নি। বরং তারাই এখন এই সমবায় ব্যাঙ্কের বোর্ডের প্রধান। গ্রামবাংলার নানা সমবায় নির্বাচনে দেখা গিয়েছে প্রার্থী দিয়েও হেরে গিয়েছে বিরোধীরা। আবার জোরদার টক্কর দিয়েও হেরেছে। এমনকী রাম–বাম জোট করেও সমবায় নির্বাচনে হেরেছে। কিন্তু প্রার্থীই দিতে না পেরে হেরে যাওয়া অত্যন্ত চাপের বিষয়।
আরও পড়ুন: ‘দিঘা হবে আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র’, সৈকতনগরীতে পা রেখেই বড় ঘোষণা মমতার
এদিকে এই জয়নগরের সমবায় এতদিন কংগ্রেসেরই দখলে ছিল। গত পুরসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসের তুমুল লড়াইয়ের পর সমবায় নির্বাচনে সমঝোতার ভিত্তিতেই বোর্ড গড়তে চলেছে দুই দল। দুই দলের নেতৃত্বের এখন দাবি, নির্বাচনের খরচ বাঁচাতেই এমন সমঝোতা করা হয়েছে। ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। তার আগে একের পর এক সমবায় সমিতি জিতে নেওয়ার অর্থ সংগঠন মজবুতই আছে। আর মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের উপরই ভরসা রাখছে। আর এবার নির্বাচন হতেই উন্নয়নের নিরিখে ফলাফল হল। তাতে খুশি তৃণমূল।