সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নয়াদিল্লি সফরে গিয়েছেন বলে খবর। রাজপালের কাছে চোপড়ায় যাওয়ার আবেদন জানাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশ্ন, অশান্তির অভিযোগে রাজ্যপাল যদি সন্দেশখালি যেতে পারেন বিএসএফের গাফিলতিতে চারটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যপাল কেন চোপড়া যাবেন না?
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় নিহত শিশুদের পরিবারকে এবার আর্থিক সাহায্য দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ তিন লক্ষ টাকা করে সাহায্য তুলে দেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেয়েই মন্ত্রী গোলাম রব্বানি একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে নিহত শিশুদের বাড়িতে যান। আর মৃত শিশুদের পরিবারের হাতে অর্থ তুলে দেন বলে খবর। চোপড়ার চেতনাগছে চারজন শিশুর মৃত্যু ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেসিবি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেসিবি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এদিকে ময়নাতদন্তের পর তাদের পরিবারের হাতে শিশুদের দেহ তুলে দেওয়া হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন গ্রামের মানুষজন। পরে সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি কবরস্থানে মৃতদেহগুলি সমাধিস্থ করা হয়। আর সন্দেশখালি নিয়ে বিরোধী দলগুলি শাসকদলকে চাপে ফেলতেই তৎপর হন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তিনি দিনভর চোপড়ার ঘটনায় নজর রাখেন। আর তারপর দলীয় নেতাদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার নির্দেশ দেন। উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে নিহত শিশুদের পরিবারগুলির পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তাঁদের যে কোনও ধরনের সাহায্য দিতে বলা হয়েছে তাঁর দফতর থেকে। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুর রহমান মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কনাইয়ালাল আগরওয়াল, রাজ্য নেত্রী পম্পা সরকার গ্রামে গিয়ে মৃত শিশুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান।
অন্যদিকে সন্দেশখালি নিয়ে যখন বিজেপি–সিপিএম–কংগ্রেস একযোগে ইস্যু করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তখন পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বও চোপড়ার বিষয়টিকে তুলে ধরে পাল্টা বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ওই এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনায় বসেন। এই ঘটনায় প্রথম থেকে বিএসএফের দিকে আঙুল তুলে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। সময় পাওয়া গেলে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরা তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন।