বাংলায় মাঠে-ময়দানে বিজেপির একেবারে পয়লা নম্বর শত্রু হল তৃণমূল। অন্যদিকে তৃণমূলও প্রতি মুহূর্তে বিজেপিকে নিশানা করে আক্রমণ শানায়। কিন্তু জলপাইগুড়ির একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে।( সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে তার ভেতর বসে এক বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে মদ্যপান করছেন এক তৃণমূল নেতা। স্থানীয় লোকজন ধরে ফেলেন তাঁদের। ভিডিয়ো তোলা শুরু হতেই নানাভাবে বিষয়টি ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন উভয়ই। সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূলের ওই জনপ্রতিনিধি। তবে গোটা ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে বিজেপি ও তৃণমূল যুযুধান দুই শিবিরের নেতৃত্বই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিচ্ছেন দুপক্ষই।সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ভিডিয়ো রেকর্ডিং হচ্ছে এটি বুঝতে পেরেই সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূলের ওই নেতা। প্রথমদিকে তর্ক করলেও পরে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিতে পারে এটা আঁচ করে মদের গ্লাস আড়াল করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই বিজেপি নেত্রীও।বর্তমান সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে রফা করার চেষ্টা করতেও দেখা যায় ওই তৃণমূল নেতাকে। কিন্তু নেতার প্রস্তাবে রাজি হননি ওই বাসিন্দারা।সূত্রের খবর, যে নেত্রীকে দেখা গিয়েছে ওই ভিডিয়োতে তিনি বিজেপির মহিলা মোর্চার পদে রয়েছেন। আবার যে নেতাকে দেখা গিয়েছে ওই ভিডিয়োতে তিনি জলপাইগুড়ির জনপ্রতিনিধি। সেক্ষেত্রে এভাবে গাড়িতে বসে তৃণমূল নেতা ও বিজেপি নেত্রীর মদ্যপানের ঘটনা কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে জেলার রাজনীতিতে।অনেকের মতে মাঠেঘাটে গলার শিরা ফুলিয়ে একে অপরের দিকে তির ছোঁড়েন দুই শিবিরের নেতা নেত্রীরা। তবে কি তার বাইরে সকলের অলক্ষ্যে তাঁদের মধ্য়ে এমন বোঝাপড়া থাকে?এদিকে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, ওই বিজেপি নেত্রীর বাড়ি আমার এলাকায়। তিনি গজলডোবা থেকে পার্টির কাজ সেরে ফিরছিলেন। আমি এক বন্ধুর সঙ্গে গজলডোবার দিকে যাচ্ছিলাম। পথে দেখা হওয়ায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিলাম। তবে ওই নেত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার রাজনীতিতে ঝালমুড়ি খাওয়ার ইতিবৃত্ত রয়েছে।সেটা ছিল রাজনৈতিক সৌজন্য। তবে তারপরেও এনিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে এবার একেবারে গাড়ির মধ্যে ‘মদ্যপান’ দুই শিবিরের নেতা নেত্রীর। এনিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক মহলে।