ভোট সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বনধ পরে ডাকলে প্রাসঙ্গিকতা থাকত না। হঠাৎ করে বনধ ডেকে দলের অন্দরেই সমালোচনার মুখে এমন জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার বিকেলে বালুরঘাটে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা বলেন তিনি। সঙ্গে তিনি বলেন, বনধ প্রত্যাহারের কোনও অনুরোধ শুভেন্দু অধিকারী আমাকে করেননি।
পুরভোটে রাজ্যজুড়ে হিংসার প্রতিবাদে সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডাকে বিজেপি। রবিবার সন্ধ্যায় বনধের ঘোষণা করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সূত্রের খবর, দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যা ঠিক হয়নি বলে মনে করছে বিজেপিরই একাংশ। যার জেরে সোমবারের বনধ সফল করতে তেমনভাবে সক্রিয় হতে পারেননি বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বনধের সমর্থনে প্রচারও করতে পারেননি তাঁরা।
বিজেপির অন্দরে বনধ নিয়ে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে যায় সোমবার দুপুরে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এভাবে হঠাৎ বনধ ডাকা উচিত হয়নি। এতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হয়। বনধ প্রত্যাহার করা উচিত।
বিকেলে বালুরঘাটে এই নিয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ভোট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বনধ পরে ডাকলে প্রাসঙ্গিকতা থাকত না। তাই সবার সঙ্গে আলোচনা করে ওঠা হয়নি।’ শুভেন্দুবাবুর বনধ প্রত্যাহারের আবেদন নিয়ে তিনি বলেন, ‘উনি আমাকে বনধ প্রত্যাহার করতে বলে কোনও অনুরোধ করেননি। মানুষের অসুবিধা হবে জেনে বনধ ডাকার সময়ই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।’