আশেপাশে কোনও হাসপাতাল নেই। শুধুমাত্র রয়েছে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রই হল স্থানীয়দের ভরসা। প্রসূতিদের প্রসব থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের জরুরি চিকিৎসার জন্য স্থানীয়রা এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপরেই নির্ভরশীল। কিন্তু, গত তিনদিন ধরে বিদ্যুৎহীন হয়ে রয়েছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। যারফলে সেখানে জরুরি পরিষেবা থেকে শুরু করে কোনও চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এমনই অবস্থা নদিয়ার সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জের বানপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের।
আরও পড়ুনঃ ‘আমরা গরমে থাকি, ভোটকর্মীদেরও সে কষ্ট সইতে হবে’ বুথে ঝুলল তালা, বিক্ষোভ মহিলাদের
জানা যাচ্ছে, সীমান্তবর্তী এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপর শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বিএসএফ কর্মীরাও সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। তবে সেখানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার ফলে জরুরি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। সদ্যোজাতের জন্মানোর পর দেওয়া ভ্যাকসিন, ছোট বড় বিভিন্ন বয়সের অসুস্থ রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অসুস্থ রোগীকে এই হাসপাতাল থেকে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
পড়ুনঃ প্রয়োজনে জেনারেটর চালিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে, ২ সংস্থাকে নির্দেশ মন্ত্রীর
সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে এমনিতেই রাতের বেলায় বাড়ি থেকে খুব একটা মানুষ বের হয় না। রাতের দিকে যানবাহনও এলাকায় সেরকমভাবে পাওয়া যায় না। ফলে রাতের বেলায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। জীবনদায়ী অক্সিজেন ও ওষুধের জন্য যেতে হচ্ছে অনেক দূরে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি খোলা থাকলেও বিদ্যুৎ না থাকায় সব কাজই বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।
ইতিমধ্যেই, স্থানীয় মানুষজনের পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বিদ্যুৎ দফতরকে বারবার এনিয়ে জানিয়েছে। কিন্তু, তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি। এমনকী বিদ্যুৎ না থাকার জন্য প্রসুতি বিভাগও কার্যত বন্ধ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরাও এই দুর্দশার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রান্তিক হাসপাতাল বলেই কি পরিষেবায় এতটা গাফিলতি? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রোগীর পরিজনেরা! বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকার স্থানীয় মানুষজন এবং রোগী পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ উগড়ে দেন । তারা চাইছেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক।