চাপের মুখে কাটমানি হিসাবে নেওয়া টাকা ফেরতে বাধ্য হলেন তৃণমূল নেতা। শুক্রবার রাতে রায়গঞ্জ শহরে ক্যাম্প করে টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে রায়গঞ্জ পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর বাসুদেব ভট্টাচার্য। আবাস যোজননার ঘর ও স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের শৌচারা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এলাকার গরিব মানুষের কাছ থেকে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও বাসুদেববাবুর দাবি, এলাকার গরিব মানুষকে অর্থ সাহায্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন - মহিলাদের নাইট ডিউটি না দেওয়ার চেষ্টা করুন, RG করের ঘটনার পরে একগুচ্ছ পরামর্শ
পড়তে থাকুন - ‘এত ইস্যু হল’, চাপে পড়ে মমতার নির্দেশে ৪২ ডাক্তারের বদলির নির্দেশ বাতিল রাজ্যের
স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় দাস বলেন, ‘আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে ৩০ – ৪০ হাজার টাকা করে তুলেছেন বাসুদেবহ ভট্টাচার্য। আমরা উপ পুরপ্রধান ও বিধায়কের কাছে অভিযোগ জানাই। উপ পুরপ্রধান ভোলা পাল ও বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর চাপে আজ উনি কিছু মানুষের টাকা ফেরত দিয়েছেন। আরও অনেকের টাকা বাকি রয়েছে।’
শুক্রবার হনুমান সেবা সমিতি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দফতরে বসে ১৪ জনের হাতে চেক তুলে দেন বাসুদেববাবু। এর পর তিনি বলেন, গরিব মানুষকে সাহায্য করার জন্য কিছু লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। কথা দিয়েছিলাম যে টাকা ফিরিয়ে দেব। সেই টাকা আজ তাঁদের হাতে তুলে দিলাম। আবাস যোজনা বা শৌচাগারের জন্য কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
আরও পড়ুন - মহিলাকে নগ্ন করে দৌড় করানোর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে, নন্দীগ্রাম যাচ্ছে তৃণমূল
তবে বাসুদেববাবু যে কাটমানি নিয়েছেন তা স্বীকার করেছেন ভোলা পাল। তিনি বলেন, ‘আমাকে অনেকে বলেছে যে বাসুদেব ভটচার্য আবাস ও শৌচাগারের জন্য টাকা তুলছে। আমি স্পষ্ট করে দিয়েছি আবাসের কাজ বন্ধ আর শৌচাগারের জন্য টাকা লাগে না। এর পর ওনাকে টাকা ফেরাতে চাপ দেওয়া হয়। ২ দিন আগে একটা বৈঠকে ওনাকে স্পষ্ট করা হয় যে টাকা নিয়ে থাকতে ফেরাতে হবে। কিছু মানুষের টাকা উনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে এখনও অনেকে টাকা পায়।’
বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘আমার সঙ্গে বাসুদেব ভটচাজের কথা হয়নি। তবে উনি কিছু মানুষকে টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে শুনেছি।’