সমুদ্র উপকূলে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তাঁর অভিযোগ, সমুদ্র উপকূলবর্তী আইন অনুযায়ী, সেখানে বনাঞ্চল ধ্বংস করে কোনওভাবে বেআইনি নির্মাণ তৈরি করা যাবে না। কিন্তু সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওই অঞ্চলে ব্যাঙের ছাতার মতো বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠছে।
জাতীয় পরিবেশ আদালত।
রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হল দিঘা। এই সুমদ্র উপকূলের অন্যতম সৌন্দর্য হল ঝাউবন। কিন্তু সেই ঝাউবন ধ্বংস করে একাধিক জায়গায় গজিয়ে হচ্ছে বেআইনি নির্মাণ। সেক্ষেত্রে সমুদ্র উপকূল আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই এই কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তাতেই পরিবেশ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। এ নিয়ে একটি মামলা গড়িয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালতে। সেই সংক্রান্ত মামলায় কমিটি গঠন করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
সমুদ্র উপকূলে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তাঁর অভিযোগ, সমুদ্র উপকূলবর্তী আইন অনুযায়ী, সেখানে বনাঞ্চল ধ্বংস করে কোনওভাবে বেআইনি নির্মাণ তৈরি করা যাবে না। কিন্তু সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওই অঞ্চলে ব্যাঙের ছাতার মতো বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠছে। এর জন্য নির্বিচারে ঝাউবন ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই মামলায় একাধিক স্যাটেলাইট ইমেজ এবং ছবি পরিবেশ আদালতের সামনে তুলে ধরেন সুভাষ দত্ত। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এরকম চলতে থাকলে আগামী দিনে তা পরিবেশের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পরিবেশ আদালত চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিচারপতি বি অমিত স্থলেকার ও বিচারপতি অরুণকুমার বর্মার ডিভিশন বেঞ্চ। এই কমিটিতে রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অভিজ্ঞ গবেষক ছাড়াও থাকছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক। তাঁদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত। এর জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি। তার মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত।