চাকরি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে বিধানসভা ভোটে লড়ে হয়েছিলেন বিধায়ক। আর সেই বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের মুখে এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের উক্তি। তবে কি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন হুমায়ুন? বুধবার ডেবরার বিধায়কের এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্ন।বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি রিল শেয়ার করেন হুমায়ুন কবির। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে একটি ৮ – ১০ বছরের শিশু একটি লাঠি হাতে উদ্ধত ভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর সামনে থেকে শিশুটির ভিডিয়ো করছেন কয়েকজন। শিশুটি কে বা ভিডিয়ো কোথাকার তার কোনও উল্লেখ নেই ভিডিয়োয়। তবে ভিডিয়োয় লেখা রয়েছে একটা কথা, ‘পিতার জীবন ধন্য’।এই ভিডিয়ো পোস্ট করে হুমায়ুন কবির লিখেছেন, ‘ওর হাত থেকে ডান্ডা কেড়ে নিয়ে কলম ধরাতে হবে, নাহলে ওর এবং ভারতবর্ষের ভবিষ্যত অন্ধকার। ’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার প্রথম দিন থেকে যে কথা বলছেন শমীক ভট্টাচার্য।গত ৩ জুলাই বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদে বসার পর প্রথম ভাষণ থেকেই শমীক ভট্টাচার্য একাধিক সভায় বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের শাসনে মরছে মুসলমান, মারছে মুসলমান। আমরা মুসলমান যুবকদের হাত থেকে পাথর কেড়ে নিয়ে কলম ধরাতে চাই। তলোয়ার কেড়ে নিয়ে বই ধরাতে চাই।’ শমীকবাবুর সেই মন্তব্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় হুমায়ুনের রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।বলে রাখি, গত মাসে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত শিশু তামান্না খাতুনের বাড়িতে গিয়েছিলেন হুমায়ুন। সেখানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তরফে তামান্নার মা সাবিনা ইয়াসমিনের হাতে ক্ষতিপূরণ হিসাবে টাকা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। যা তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করেন সাবিনা। সেই ঘটনার জেরে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে তৃণমূল। ওই ঘটনার জেরে হুমায়ুনকে শো-কজ করে দল। এর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিয়ো। যাতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রারকে লাথি মারছেন হুমায়ুন। যদিও তৃণমূলের দাবি, ওই ভিডিয়ো ২০২২ সালের। এসব অস্বস্তির মধ্যেই শমীক ভট্টাচার্যের উক্তি পোস্ট করে কি হুমায়ুন কি বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতির হিন্দুত্বের নীতিতে আস্থা রেখে নতুন রাজনৈতিক অভিযানে নামতে চান তিনি?