আজ, সোমবার শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮০০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট গড়ে তুলতে ১৬,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে সজ্জন জিন্দলের সংস্থা জেএসডব্লিউ এনার্জি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। শালবনিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন জিন্দাল গোষ্ঠীর শীর্ষকর্তারাও। শিলান্যাসের ৪২ মাসের মধ্যে প্রথম ইউনিট এবং ৪৮ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে বলে জানানো হয়।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঘোষণায় নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করলেন শালবনি এবং পার্শ্ববর্তী প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ। আর যাঁরা একসময় জমি দিয়েছিলেন বড় কারখানার জন্য। এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সজ্জন জিন্দাল বলেন, ‘আমি ৮–১০ বছর বাদে শালবনিতে এলাম। গত ১০ বছরে বিরাট উন্নয়ন হয়েছে এখানে। তার ক্রেডিট মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। রাজ্যের উন্নতিতে দিদি অনেক কাজ করেছেন আর বাংলার উন্নতি হলে দেশেরও উন্নতি হবে।’ পরদিন ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার তিনি মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন গোয়ালতোড়ের একটি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট–সহ একাধিক নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে তীব্র জলসংকট দেখা দিয়েছে পোস্ট দিলীপের, জল ধরো জল ভরো প্রকল্প জানালেন কুণাল
মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে হাজির ছিলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার এবং সাংসদ জুন মালিয়া। আর শালবনিতে নেমেই মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে যান জিন্দলদের কারখানার। সজ্জন জিন্দলের বক্তব্য, ‘শালবনিতে গত ১০ বছরে অনেক উন্নতি হয়েছে। দেখে মনে হয়, এরকমই হওয়া উচিত। এখানকার জমি কৃষকদের। তাই তাঁরা যাতে উপকৃত হন, সেটা আমাদের দেখতে হবে। দিদিও আমাকে সে কথা বারবার বলেছেন। এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোনও দূষণ হবে না। এটা আমরা নিশ্চিত করব। এই রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। তা মাথায় রেখেই এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।’