বাংলাদেশের হিংসার একের পর এক ঘটনা সামনে আসতে শুরু করেছে। সেই ছবি, সেই ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠছে গোটা দুনিয়া। একের পর এক হিন্দু নির্যাতনের খবর সামনে আসছে। এসবের মধ্যেই পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকার ছবিটাও দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে। পেট্রাপোল সীমান্তে যাত্রীর সংখ্যা ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। টাকা বিনিময় কেন্দ্রের কর্মীরাও কার্যত গালে হাত দিয়ে বসে রয়েছেন। স্থানীয় গাড়ি চালকদেরও অন্যতম ভরসা হল এই বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীরা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সংখ্য়াও কমছে। এসবের মধ্যেই একটি ছবি ভাসছে বিভিন্ন মাধ্যমে। সীমান্তের ওপারে যাওয়ার জন্য রীতিমতো লাইন। সকলেই কি বাংলাদেশি?
সীমান্তে এনিয়ে খোঁজখবর করতেই উঠে আসছে অন্য কথা। আসলে এই সীমান্ত পথে রোজ যায় অজস্র কম্বল। ঠিকই পড়ছেন যে কম্বল আমরা শীতের রাতে গায়ে দিই। বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রচুর কম্বল যায় ইন্ডিয়া থেকে। সেই কম্বল পৌঁছে দেওয়ার জন্যও লাইন পড়ে মাঝেমধ্য়েই।
কীভাবে ভারত থেকে সীমান্তপথে বাংলাদেশে যায় ইন্ডিয়ার কম্বল?
সূত্রের খবর, ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের প্রচুর এজেন্ট রয়েছে এই কাজে।যারা কেবলমাত্র কম্বল নয়, ভারতের প্রচুর পণ্য ওপারে নিয়ে যান। এখানে যে কম্বলের দাম ১২০০ টাকা সেটাই সীমান্ত পার হলেই হয়ে যায় ২৫০০ টাকা। সেই কম্বলের ব্যবসা চলে সীমান্তে। এই ব্যবসা কতটা বৈধ, কতটা অবৈধ তা নিয়ে বিতর্ক আছেই। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতির জেরে সেই কম্বলের ব্যবসাতে বিরাট প্রভাব পড়ছে। সবথেকে বড় কথা হল, শীত পড়ছে বাংলাদেশে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিততে কতগুলি কম্বল শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে তা নিয়ে কিছুটা সংশয় দেখা দিয়েছে। একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, সোমবার যে লাইন পড়েছিল সীমান্তে তার একাংশ এই কম্বল পৌঁছে দেওয়ার লাইন।