তাই রাজ্য পুলিশ তা করেছিল। তবে সেটা সহজে হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া এনআইএ তদন্তের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিল রাজ্য সরকার। ২০২৩ সালের ১৯ মে সর্বোচ্চ আদালত খারিজ করে দিয়েছিল।
রামনবমীতে হিংসা
২০২৩ সালের রামনবমীতে হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। তার জেরে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল রাজ্য পুলিশের কাছে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্ত করতে শুরু করে এনআইএ। এতদিন পর উত্তর দিনাজপুর জেলায় রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। আর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এমনকী এই ১৬ জন কারা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উত্তর দিনাজপুরে রামনবমীর দিন ডালখোলায় হিংসার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। আর তার জেরে এই ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এনআইএ সূত্রে খবর।
এদিকে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা প্রকৃত দোষী নাকি রাজ্য পুলিশের কাছে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল তাঁরা প্রকৃত দোষী তা নিয়ে একটা ধন্দ তৈরি হয়েছে। এখানে কোনও রাজনীতির বিষয় আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এনআইএ সূত্রে খবর, ডালখোলার তাজামুল চক এলাকায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের কাছে ১৬২ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এমনকী ওই হিংসার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে গ্রেফতার হওয়া ১৬ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ধৃতরা সবাই স্থানীয় বাসিন্দা। এই স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে হিংসার ষড়যন্ত্র ও হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে এই বছরও হবে রামনবমী। তার আগে এই গ্রেফতার বাড়তি সতর্কতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ রামনবমীর যে মিছিল হয়েছিল তাকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা–সহ একাধিক জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়ে যায়। আর তখনই ২৭ এপ্রিল এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কারণ এই হিংসার ঘটনার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই হিংসার ঘটনা নিয়ে সমস্ত নথি এনআইএ–কে হস্তান্তর করতে হবে।