এবারের ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ওই কেন্দ্রেরই জয়ী তৃণমূলের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ।তাঁর কাছেই পরাজিত হয়েছেন ভোটের মুখে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া রাজ্যের ওই প্রাক্তন মন্ত্রী।বুধবার রাজীবের সুর বদল নিয়ে ডোমজুড়ের বিধায়কের কটাক্ষ, আসলে তদন্তের হাত থেকে বাঁচতে সহনুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। উল্লেখ্য, ইয়াসের তাণ্ডবে নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর সেচ দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।গত সরকারের আমলে সেচ দফতরের দায়িত্বে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন।রাজনৈতিক মহলের মতে, ডোমজুড়ের তৃণমূলের বিধায়কের ওই মন্তব্য ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই।শ্রীরামপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন ডোমজুড়ের এই বিধায়ক।এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, সকলের এখন বোধদয় হচ্ছে।কিন্তু নির্বাচনের আগে হয়নি।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেচ দফতরের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।সেই তদন্তের হাত থেকে বাঁচবার জন্য সহনুভূতি আদায়ের পরিকল্পনা করছেন। অবশ্য একথা বলার সময়ে রাজীবের নাম উল্লেখ করেননি তিনি। তবে তাঁর ইঙ্গিত যে প্রাক্তন রাজ্যের মন্ত্রীর দিকেই তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগে মঙ্গলবার বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের বিরোধিতা করে পোস্ট করেন।শুভেন্দু চাইলেও রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের তীব্র বিরোধিতা করেন রাজীব।রাজীবের এই অবস্থান বদলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাওড়ার সলপে পোস্টার পড়ে যায়।সেই পোস্টারে রাজীবকে গদ্দার বলে উল্লেখ করে দলে না নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিধায়কের প্রতিক্রিয়া, নির্বাচনের সময়ে তৃণমূল নেত্রী ও অভিষেক সম্পর্কে যে মন্তব্য করছেন, তাতে হাওড়ার মানুষ খুব ক্ষুব্ধ।নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেলেন।আর তারপরদিনই অমিত শাহের পায়ে গিয়ে পড়লেন।ওকে দলে নিলে ক্ষতি হবে।শ্রীবৃদ্ধি হবে না।