কত আবাসনের ক্ষেত্রে সিসি নেওয়া হয়নি তারজন্য গত ডিসেম্বর মাস থেকে তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। সেই কাজ সম্প্রতি শেষ হতেই নবান্নে রিপোর্ট পাঠিয়েছে পুরসভা। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেড় হাজার আবাসনের সিসি নেই। আর এরফলে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার ফ্ল্যাট মালিক সমস্যায় পড়েছেন।
Ad
সিসি নেই ১,৫০০ আবাসনের, সংগ্রহ না করলে আইন মতো পদক্ষেপ, হুঁশিয়ারি পুরসভার
সম্প্রতি কলিকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক বহুতল হেলে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। তাতে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সেই আবহে দেখা যাচ্ছে, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায় বহু আবাসনের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট বা সিসি নেই। এইসব ক্ষেত্রে আবাসন তৈরির পর সিসি নেননি বহু প্রোমোটার। এরকম আবাসনের সংখ্যা হল দেড় হাজারের বেশি। আর তারফলে সমস্যায় পড়েছেন কয়েক হাজার ফ্ল্যাট মালিক। এই অবস্থায় পুরসভাকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কত আবাসনের ক্ষেত্রে সিসি নেওয়া হয়নি তারজন্য গত ডিসেম্বর মাস থেকে তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। সেই কাজ সম্প্রতি শেষ হতেই নবান্নে রিপোর্ট পাঠিয়েছে পুরসভা। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেড় হাজার আবাসনের সিসি নেই। আর এরফলে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার ফ্ল্যাট মালিক সমস্যায় পড়েছেন। এর কারণ হল তারা মিউটেশন করতে পারছেন না। ফলে অন্য কাউকে যেমন তারা ফ্ল্যাট বিক্রি করতে পারছেন না, তেমনি পুরসভার প্রচুর কর বকেয়া থেকে যাচ্ছে।
পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তৈরি হওয়া দেড় হাজার আবাসনের ক্ষেত্রে এই সিসি পড়ে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এই পুরসভা এলাকায় প্রায় ৮ হাজার আবাসন তৈরি হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, মূলত সমস্যা দেখা দিয়েছে মহামায়াতলা, গড়িয়া স্টেশন ও গড়িয়ার কিছু অংশে তৈরি হওয়া আবাসনের ক্ষেত্রে। এ বিষয়ে পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বড় বড় কমপ্লেক্স বা আবাসনের ক্ষেত্রে সিসি নিতে কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু, মূলত সমস্যা দেখা দিচ্ছে পাড়ার ভিতরে বা রাস্তার ধারে তিন, চার তলা বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে। অভিযোগ উঠেছে, এইসব ক্ষেত্রে প্রমোটররা বহুতল বানানোর পর আর সিসি সংগ্রহ করেননি। শুধু তাই নয়, ফ্লাট মালিকরাও সিসি পাননি। আর এর কারণে ফ্ল্যাট মিউটেশন না হওয়া বিক্রি করতে পারছেন না মালিকরা। ফলে করের বোঝাও বাড়ছে বলে আশঙ্কা ফ্ল্যাট মালিকদের।