এলাকায় বেশ কয়েক মাস ধরেই গরু, ছাগল, ষাঁড় একের পর এক চুরি হয়ে যাচ্ছিল। এ নিয়ে তারা পুলিশের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। তাদের অভিযোগ ছিল, পিকআপ ভ্যানে করে দুষ্কৃতীরা আসছে এবং রাতের অন্ধকারে এগুলি চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, পুলিশকে জানানো হলেও পদক্ষেপ করা হয়নি।
আক্রান্ত পুলিশ। প্রতীকী ছবি
গরুচোর সন্দেহে এক যুবককেকে আটকে রেখেছিলেন স্থানীয়রা। পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। স্থানীয়দের হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ। শুধু তাই নয়, রাতভর পুলিশকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল। পরে হেডকোয়ার্টার থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি থানার দক্ষিণ মরানদীর কুঠি এলাকায়। এই ঘটনায় একজন এসআই আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, এই ঘটনার পরে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় বেশ কয়েক মাস ধরেই গরু, ছাগল, ষাঁড় একের পর এক চুরি হয়ে যাচ্ছিল। এ নিয়ে তারা পুলিশের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। তাদের অভিযোগ ছিল, পিকআপ ভ্যানে করে দুষ্কৃতীরা আসছে এবং রাতের অন্ধকারে এগুলি চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, পুলিশকে জানানো হলেও পদক্ষেপ করা হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে সম্প্রতি পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে ষাঁড় ও গরু উদ্ধার করলে অবরোধ তুলে নেন স্থানীয়রা। কিন্তু, তারপরেও গবাদি পশু চুরি হয়ে যাচ্ছিল।
এরপর স্থানীয়রা দুষ্কৃতীদের ধরতে রাত জেগে পাহারা দিতে শুরু করেন। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে একজন যুবককে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, তারাই গরু চুরি করছিল। এদিকে, ঘটনার পর সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। তবে স্থানীয়রা তাদের ঘিরে বিক্ষোভ করেন। এমনকী তাদেরকে আটকে রাখেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তারা এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু, পুলিশের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেইয়া হয়নি, অথচ গরু চোর সন্দেহে যুবককে আটকানোর পরেই পুলিশ চলে এসেছে। সে ক্ষেত্রে চোরদের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। সেই কারণে পুলিশকে আটকে রাখেন তারা।