বন্ধুত্ব শুরু হয়েছিল ফেসবুকে। কথোপকথন, বার্তা আদান-প্রদান আর একসময় সেই ভার্চুয়াল সম্পর্কই ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে ঠেলে নিয়ে গেল। দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। সামাজিক মাধ্যমে পরিচিত ‘বন্ধু’র প্রলোভনে পড়ে বেড়াতে গিয়ে দুই বোনকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।ঘটনাটি হুগলির আরামবাগ মহকুমার গৌরহাটি মোড় সংলগ্ন এলাকার।
আরও পড়ুন: প্রমাণ সংগ্রহে ব্যর্থ পুলিশ, কড়েয়া গণধর্ষণ মামলায় ১১ বছর পর বেকসুর খালাস ৩
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। পলাতক রয়েছে আরও এক অভিযুক্ত। পুলিশ ও নির্যাতিতাদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের বাসিন্দা ওই দুই বোন বৃহস্পতিবার বিকেলে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে বাজারে বেরিয়েছিলেন। পথে তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় এক ‘ফেসবুক বন্ধু’র। সেই যুবকের সঙ্গে তাঁদের আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল। অভিযোগ, সেই যুবক তাঁদের হঠাৎ বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রথমে রাজি না হলেও এক পর্যায়ে অভিযুক্তের জোরাজুরিতে তাঁরা বাধ্য হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি গাড়িতে আরও চার যুবক এসে হাজির হয়। অভিযোগ, জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয় দুই বোনকে। পরিবারের দাবি, নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তাঁদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। দিদিকে গাড়ির মধ্যেই একাধিক বার ধর্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতাদের মা। অভিযোগ, বোনের উপরেও নিগ্রহ চালানো হয়। শুধু তাই নয়, তাঁদের জোর করে মাদকজাত দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে তোলা হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।
রাত পেরিয়ে গেলেও দুই মেয়ে বাড়ি না ফেরায় তাঁদের মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে শুক্রবার দুই বোনকে উদ্ধার করা হয় পূর্ব বর্ধমানের একলখি এলাকার একটি বাড়ি থেকে। এরপর আরামবাগ থানার পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তিন জনই গোঘাট এলাকার বাসিন্দা।
শনিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হলে তারা পাল্টা দাবি করে, ওই দুই বোন নাকি তাঁদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিল। টাকা না পেয়ে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে। তবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং দুই পক্ষের বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত চলছে।