ম্যাসাজ পার্লারের আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্র। অভিযান চালিয়ে চক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি শপিং মলের ওই পার্লারে হানা দিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি শপিং মলে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে যৌথভাবে হানা দেয় মাটিগাড়া থানা ও মহিলা থানার পুলিশ। সেখানে এক ব্যক্তি-সহ দুই যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীরা সেখানেই কাজ করে। এদিকে ধৃত ব্যক্তি বিহারের বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কিছু স্পা এমনও রয়েছে যেগুলির কোনও লাইসেন্স নেই। অথচ তারপরও সেগুলি রমরমিয়ে চলছে। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট সে সব নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে। এর আগে বিভিন্ন স্পা ও ম্যাসাজ পার্লারগুলি নিয়ে পুলিশের তরফে কিছু নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বহুদিন ধরে ওই পার্লারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাচ্ছিলেন তাঁরা। এদিন সেখানে অভিযান চালান তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে ধরা হয় অভিযুক্তদের। উল্লেখ্য, এর আগেও শিলিগুড়ির সেবক রোড সংলগ্ন এলাকায় স্পায় হানা দেওয়া হয়েছিল। সেই চক্রের ২ যুবককে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় এক যুবতীকে। ওই স্পা সেন্টারে বহুদিন ধরেই মধুচক্রের আসর চলছিল বলে অভিযোগ। এমনটাই খবর এসেছিল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে। তার পরেই ওই স্পা সেন্টারে হানা দেওয়া হয়। সেখান থেকেই হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় ২ যুবককে। এক মহিলাকেও উদ্ধার করা হয়।প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি স্পা সেন্টারে হানা দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ, স্পা সেন্টারে মহিলাদের দেহব্যবসার আসরে নামানো হয়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্পা সেন্টারে হানা দিয়ে সাফল্য পেয়েছে পুলিশ। বেআইনি স্পা সেন্টারের রমরমা রুখতে সক্রিয় হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। বছরভর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মধুচক্রের কারবারের খবর এলেই অভিযান চালানো হয়। সাম্প্রতিক কালে উত্তরবঙ্গে এমন স্পা সেন্টারে রমরমা বেড়েছে। এগুলো দেখলে আর বাকি ৫টা স্পা সেন্টারের মতোই সাধারণ মনে হলেও পিছনে মধুচক্রের কারবার চলে বলে অভিযোগ। এখন এই চক্রের মূল পাণ্ডার খোঁজে নেমেছে পুলিশ। আগামী দিনে এমন কারবার রুখতে আরও বেশি করে অভিযান চালানো হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে পুলিশ।