আর বাবা শিশির অধিকারী ছিলেন দিঘা স্টেশনে। শিশির অধিকারী আর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ এক, তাঁর বয়স। দুই, কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল হতে পারেন। এখানে রেল প্রকল্পে বক্তব্য রাখার সময়ই ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেন দিব্যেন্দু অধিকারী।
এখনও খাতায়–কলমে তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শিশির অধিকারী। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়া এবং নজিরবিহীন ভাষায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করার জেরে গোটা অধিকারী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরের। সামনে লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বাবা–ছেলে দুই সাংসদ টিকিট পাবেন না বলেই সূত্রের খবর। তাই ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করবেন বলে গুঞ্জন চলছে। এই আবহে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য সফরে তাঁর সঙ্গে দেখা হতে পারে বলে জানালেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস দিব্যেন্দু অধিকারীকে টিকিট না দিলে বিজেপি থেকে তাঁকে তমলুকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই স্থানীয় সাংসদ হিসেবে সোমবার অমৃত ভারত রেল প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ভার্চুয়াল’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁকে মেচেদা স্টেশনে দেখা যায়। আর বাবা শিশির অধিকারী ছিলেন দিঘা স্টেশনে। শিশির অধিকারী আর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ এক, তাঁর বয়স। দুই, কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল হতে পারেন। এখানে রেল প্রকল্পে বক্তব্য রাখার সময়ই ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেন দিব্যেন্দু অধিকারী। তার পর প্রধানমন্ত্রী–রেলমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগামী মাসে এই রাজ্যে আসছেন। হয়তো তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ ঘটবে।’
অন্যদিকে এদিন রেলের এই অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে কোথাও তৃণমূল–বিজেপি বিরোধ দেখা গিয়েছে। আবার কোথাও মিলেছে সৌজন্য। এখন প্রশ্ন, দিব্যেন্দু কি বিজেপিতে যেতেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন? এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দিব্যেন্দু বলেন, ‘এটা কোনও রাজনৈতিক সাক্ষাৎ নয়। তবে আমি আমার দাবির কথা বলতে পারি। সতীশবাবুর নামে হল্ট স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্টেশন করার দাবি রাখব। অনেক কিছুই হতে পারে।’ আর বাবা শিশির অধিকারী দিঘায় মোদীর প্রশংসা করে বলেছেন, ‘গত ৬২ বছরে দেশে যে ক’জন প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি, তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে যোগ্য নরেন্দ্র মোদী।’