আরজি কর কাণ্ডে ন্যায় বিচার চেয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন তিলোত্তমার বাবা মা। তার আগেই অভিযানের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন হাওড়ার এক বাসিন্দা। অভিযোগ, আসন্ন নবান্ন অভিযান ঘিরে শহরের জনজীবন বিপর্যস্ত হতে পারে। তাই এই কর্মসূচি রুখতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ করেছে। শুনানি নির্ধারিত হয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানের আগেই আরজি কর আন্দোলনে যুক্ত থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের নোটিস!
এর আগে এই একই ইস্যুতে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানি রয়েছে বুধবার, সিঙ্গল বেঞ্চে। অর্থাৎ পরপর দু’দিন আদালতের নজরে আসছে নবান্ন অভিযানের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন। মামলাকারীর যুক্তি, প্রতিবাদ হোক, আন্দোলন হোক যে কোনও বৃহৎ জমায়েতের ফলে রাস্তায় নেমে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন সাধারণ মানুষ। নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল ফেরত শিশুরা, এমনকি রোগী ও অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পর্যন্ত ব্যাহত হয়। কাজকর্ম ও দৈনন্দিন জীবন ছন্দ হারায়। তাই জনস্বার্থেই এই উদ্যোগ।
প্রসঙ্গত, আগামী ৯ অগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন গতবছরের আর জি কর চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনকাণ্ডে নিহত তরুণীর মা-বাবা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘ একবছর পেরিয়ে গেলেও বিচার এখনও অধরা। এবার সেই অভিযানে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। অনেক বিজেপি নেতা-কর্মী ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তবে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক উপস্থিতির ইঙ্গিত থাকলেও, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফন্ট’ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তারা সেই মিছিলে অংশ নেবে না। একান্তভাবেই এটিকে শহরের নাগরিকদের প্রতিবাদ হিসেবে দেখতেই তারা আগ্রহী। এই প্রেক্ষাপটে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আদালত কী নির্দেশ দেয়, তার দিকেই এখন নজর গোটা রাজ্যের।