গরমে বহু পর্যটকদের দল সিকিম পাড়ি দিচ্ছেন। কিন্তু বাংলার গাড়িগুলিকে সিকিমে গেলে আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ সিকিমের গাড়ি নিশ্চিন্তে বাংলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুতরাং রাজ্য সরকারের সঙ্গে করা পরিবহণ চুক্তি সিকিম মানছে না বলে অভিযোগ উঠছে। এই সমস্যা মেটাতে এবার শিলিগুড়িতে দুই রাজ্যের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। পশ্চিমবঙ্গ–সিকিম পারস্পরিক পরিবহণ চুক্তি নিয়ে আগামীকাল বুধবার শিলিগুড়িতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকে যোগ দেবেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন–সহ শীর্ষ অফিসাররা।
সবে মার্চ মাস। এরপর বাংলার স্কুলগুলিতে পড়বে গরমের ছুটি। তখন পিলপিল করে ভ্রমণপিপাসুরা সিকিম পাড়ি দেবেন। সেক্ষেত্রে বাংলার গাড়ি যদি সিকিমে আটকে দেওয়া হয় তাহলে পর্যটকদের প্রকৃতির হাতছানিতে সাড়া দেওয়া হবে না। তখন নানা অভিযোগ উঠতে থাকবে। তাই বৈঠক ডাকা হয়েছে। এখানে সিকিমের পরিবহণমন্ত্রীর মুখ্য পরামর্শদাতা, পরিবহণ সচিব–সহ শীর্ষ অফিসাররা থাকবেন। শিলিগুড়ির মেয়র, ডেপুটি মেয়র, পুলিশ কমিশনার এবং দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ির জেলাশাসক, আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসাররাও যোগ দেবেন। বুধবারের এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছেন রাজ্যের পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ইদের ছুটিতে ট্রেনে চেপে বাড়ি আসছিলেন, চলন্ত ট্রেন থেকে পড়লেন সেনাকর্মী, এল কফিনবন্দি দেহ
এদিকে পর্যটন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাংলার গাড়ি পর্যটক নিয়ে সিকিমে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গাড়ি থেকে পর্যটক নামিয়ে দিচ্ছে। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘সিকিম প্রশাসন রেসিপ্রোকাল চুক্তিকে মান্যতা দিচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গে যদি সিকিমের গাড়ি সর্বত্র ঘুরতে পারে, তাহলে বাংলার গাড়িগুলিকেও সিকিমের সর্বত্র যাওয়ার অনুমতি কেন দেওয়া হবে না? এই গটনার জেরে পর্যটকদের চরম হয়রানি হতে হচ্ছে। তাই বহু পর্যটক ট্যুর প্যাকেজ বাতিল করে দিচ্ছেন। বুধবারের ওই বৈঠকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে বলে আমরা আশাবাদী।’