কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডের এবার রিপোর্ট তলব করল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে বিষক্রিয়াতেই মৃ্ত্যু হয়েছে ছাত্রীর। তবে তারপরেও এই ক্ষোভের রেশ কোনও অংশে কমেনি। সেই ক্ষোভের আগুনে এদিন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে কালিয়াগঞ্জ থানা চত্বর।তবে যেভাবে ওই ছাত্রীর দেহ টেনে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ সেই ছবিকে ঘিরেও উঠছে প্রশ্ন। তবে ইতিমধ্যেই সেই ঘটনায় চার এএসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ক্ষোভের আগুন কমেনি।এদিকে ছাত্রীর দেহ ওই ভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে। আর তা নিয়েই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে মৃতদেহকে যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান প্রদর্শনটা দরকার ছিল। রাজ্যের মুখ্য সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তদন্ত কতদূর হয়েছে, মৃতার পরিবারকে কী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে। ওই দেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কতজনকে কী শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও জানাতে হবে রিপোর্টে।এদিকে কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সাসপেন্ড করা হয়েছিল চার এএসআইকে। তাদের মধ্য়ে তিনজন কালিয়াগঞ্জ থানার ও একজন রায়গঞ্জ থানার। গত শুক্রবার জনতা যখন দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তখনও সেই দেহ কার্যত রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় পুলিশ। সেই ছবি দেখে শিউরে ওঠে গোটা বাংলা। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার একেবারে হাতের বাইরে চলে যায় গোটা ঘটনা। থানা ঘেরাও কর্মসূচিকে ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন থানা ঘেরাও কর্মসূচি ছিল। সেই সময় এলাকায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল। কিন্তু আচমকাই সেই ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে উত্তেজিত জনতা। এরপর শুরু হয় ইট বৃষ্টি। তারপর থানা চত্বরে ঢুকে পড়ে উত্তেজিত জনতা।এরপরই থানা চত্বরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।