অবশেষে স্পষ্ট হল মধ্যমগ্রামে প্রৌঢ়া সুমিতা ঘোষ খুনের মোটিভ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, টাকা ও গয়না হাতাতেই তাঁকে খুন করেছেন আরতি ঘোষ ও তাঁর মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ। কেন ওই নির্দিষ্ট দিনে সুমিতাদেবীকে খুন করা হয়েছে তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে এখনও অধরা এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর।
আরও পড়ুন - বক্সির তৈরি করা কমিটি কেন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে খারিজ করলেন মমতা? সম্ভাব্য ৪টি কারণ
পড়তে থাকুন - ট্যাবের টাকা নিয়েও HS-এ বসেনি ৫০,০০০ পড়ুয়া, পদক্ষেপ করা হবে কি? জানালেন সচিব
তদন্তাকারীরা জানাচ্ছেন অসমের বাসিন্দা সুমিতা ঘোষ গত ১১ ফেব্রুয়ারি মধ্যমগ্রামে ফাল্গুনীদের বাড়িতে আসেন। সম্পর্কে সুমিতা ফাল্গুনীর পিসি শাশুড়ি। তবে সুমিতাদেবীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে ২০১৭ সালেই। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, এর পর একদিন পূর্ব বর্ধমানের সমুদ্রগড়ে সুমিতাকে নিয়ে যান ফাল্গুনীরা। সেখানে প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে দেখা হয় সুমিতার। রাস্তাতেই দুজনের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর প্রাক্তন স্বামী। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অসম ফিরে যাওয়ার কথা ছিল প্রৌঢ়ার। তার আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁকে পরিকল্পনা করে খুন করে মা ও মেয়ে। সুমিটার UPIএর পাসওয়ার্ড জানতেন ফাল্গুনী।
২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার বাড়িতে সুমিতার দেহ ফেলে রেখে কলকাতায় যান মা ও মেয়ে। দেহ লোপাট করার জন্য বড়বাজারে গিয়ে প্রথমে একটা বড় ট্রলি ব্যাগ কেনেন তাঁরা। তার পর তাঁরা যান গয়নার দোকানে। সেখানে সুমিতা দেবীকে খুন করার পর তাঁর শরীর থেকে খুলে নেওয়া গয়না বিক্রি করেন মা ও মেয়ে। সেই গয়না বিক্রি হয় ৪২ হাজার টাকায়। এর পর ওই টাকা ও সঙ্গে আরও ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বড়বাজারের একটি দোকানে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা গয়নার অর্ডার দেন ২ জনে। ৫০ হাজার টাকা মেটানো হয় সুমিতা ঘোষের UPI দিয়ে।
আরও পড়ুন - আইনে কি ভরসা নেই? একের পর এক আদালত অবমাননার অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে
তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা এই সমস্ত তথ্য মিলিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে সুমিতার ট্রেনের টিকিট। তদন্তকারীদের অনুমান, সুমিতাকে খুন করে দেহ লোপাট করে দিলেই ফাল্গুনীরা বলতে পারতেন তিনি অসম রওনা হয়ে গিয়েছিলেন। পথে নিখোঁজ হয়েছেন।