আজ একুশে জুলাই। শহীদ দিবসের সমাবেশকে ঘিরে বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় পৌঁছেছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। এদিন সকাল থেকেই শহীদ সমাবেশকে ঘিরে শহরের একাধিক রাস্তায় যানজট দেখা দেয়। শহরতলির একাধিক রাস্তাতেও এদিন দেখা দেয় যানজট। সেই পরিস্থিতিতেই ২১ জুলাইয়ের সকালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিলাসবহুল গাড়ির দৌরাত্ম! ৫ ফুটপাথবাসীকে পিষে দিল মদ্যপ চালক
জানা গিয়েছে, সোমবার ভোররাতে নজরুল সরণির কাছে রাস্তা পার হওয়ার সময় এক যুবককে ধাক্কা মারে একটি দ্রুতগতির পিকআপ ভ্যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে রাস্তা পেরোচ্ছিলেন তিনি। সজোরে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকলেও, কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার বা পুলিশ কর্মী তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেননি। অবশেষে, রাস্তার উপরেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এই ঘটনাকে ঘিরে সকাল হতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। ক্ষুব্ধ জনতা যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এলাকার একটি পুলিশ কিয়স্ক ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। অবরোধের ফলে মাঝপথে থমকে যায় একাধিক যানবাহন। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিতে ধর্মতলার পথে যাওয়া তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের বেশ কয়েকটি বাস যশোর রোডে আটকে পড়ে দীর্ঘক্ষণ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যশোর রোডে ছোট গাড়িগুলোর বেপরোয়া গতিবিধির উপর প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। নির্দিষ্ট গতিনিয়ন্ত্রণ বা নজরদারির অভাবে দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে, অথচ প্রশাসন নির্বিকার। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় বারাসতের এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী। প্রায় দু’ঘণ্টা চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।যুবকের করুণ মৃত্যুতে প্রশাসনিক তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।