বেহাল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের জেরে বিুপল ক্ষতির সম্মুখীন মালদার আম ব্যবসায়ীরা। সমাধান খুঁজতে তাঁরা আর্থিক সাহায্যের আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন।
খানা-খন্দে ভরতি জাতীয় সড়কের কারণে প্রতিদিন বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছেন আম ব্যবসায়ীরা। ভাঙাচোরা রাস্তা ধরে চলতে গিয়ে প্রচুর ট্রাক দুর্ঘটনায় বিকল হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া, সড়ক সংকটের ফলে দেখা দিচ্ছে দীর্ঘ যানজট, যার ফলে ট্রাকবোঝাই আম পচে নষ্ট হচ্ছে। এর জেরে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চলতি বছরে ৩ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি আম উৎপাদন হতে চলেছে বলে দাবি মালদার আমচাষিদের।

মালদা আম ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘এ বছর অতিরিক্ত অন্তত এক লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন আশা করেছিলাম আমরা, কিন্তু আমফানের কারণে সে আশায় ছাই পড়েছে।’
তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ৩১,০০০ হেক্টর জুড়ে আমবাগান রয়েছে মালদা জেলায়। মালদার ৫ লাখের বেশি বাসিন্দা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে আম ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ইতিমধ্য ১০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। এবার ঝাড়খণ্ড, বিহার, অসম ও ওডিশায় আম পাঠাতে গিয়ে বেহাল রাস্তার কারণে আরও বেশি লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই আম পাঠানোর জন্য ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে নির্ভরশীল। বৃষ্টিতে সড়কের হাল খুবই খারাপ, রোজই বাড়ছে গভীর গর্তের সংখ্যা। আম ব্যবসায়ীদের দাবি, বিশেষ করে ফতুল্লাপুর, যদুপুর, নারায়ণপুর, ইসলামপুর এবং মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় জাতীয় সড়ক প্রায় অগম্য হয়ে পড়েছে। ফলে রোজই কয়েক লক্ষ টাকার আম ট্রাকেই পচে যাচ্ছে।
মালদা বাস ও মিনিবাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক নিমাই বিশ্বাস জানিয়েছেন, ’৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও তার বাইপাসের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিদিন আমাদের বহু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত জাতীয় সড়ক সংস্থা (NHAI) কোনও পদক্ষেপ করেনি।’
NHAI (মালদা বিভাগ) ডিরেক্টর দীনেশ হংসরিয়া জানিয়েছেন, ‘নাগাড়ে বৃষ্টির কারণে এখনই মেরামতির কাজ শুরু করা সম্ভব নয়।’