আটজনের একটি ডাকাতদল চারটি মোটরবাইক নিয়ে সোনার দোকানের সামনে আসে। কয়েকটি বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে কাজ শুরু করে। তখন দোকান মালিককে লক্ষ্য করে গুলিও চালায় তারা। তার জেরে গুলিবিদ্ধ হন দোকান মালিক, দোকানের এক কর্মী এবং একজন ক্রেতা। দোকানে ঢুকে নগদ টাকা, সোনা–রূপোর গয়না লুঠ করে চম্পট দেয় ডাকাতের দলবল।
মালতীপুর দুর্গা মন্দিরের পাশে সেন জুয়েলার্সের দোকান।
ব্যারাকপুরের ছায়া এবার মালদায়। রাতের অন্ধকারে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি করার ছক কষা হয়েছিল। আর তা রুখতে গেলেই চলল গুলি, বোমা। আর তাতে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। একইসঙ্গে আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারালেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সোনার দোকানের মালিক–সহ আরও ৩ জন। ব্যারাকপুরের ঘটনা এখনও মানুষ ভুলতে পারেননি। তার মধ্যেই ঘটে গেল একই ঘটনা মালদায়। চাঁচলের মালতীপুরে মঙ্গলবার রাতের এই ডাকাতির ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে মালদায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, মালতীপুর দুর্গা মন্দিরের পাশে সেন জুয়েলার্সের দোকান। আর দোকান মালিকের নাম গৌতম সেন। তাঁর বাড়ি চাঁচল এলাকায়। মঙ্গলবার রাতে ওই সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে যায়। মোট আটজনের একটি ডাকাতদল চারটি মোটরবাইক নিয়ে সোনার দোকানের সামনে আসে। তারপর কয়েকটি বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে কাজ শুরু করে। এমনকী তখন দোকান মালিককে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় তারা। তার জেরে গুলিবিদ্ধ হন দোকান মালিক, দোকানের এক কর্মী এবং একজন ক্রেতা। তারপর দোকানে ঢুকে নগদ টাকা, সোনা–রূপোর গয়না লুঠ করে চম্পট দেয় ওই ডাকাতের দলবল।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এদিকে এই ঘটনার খবর কানে আসতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চাঁচল থানার সিভিক ভলান্টিয়ার মমিনুল হক। তিনি এই লুঠপাট রুখতে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ওই ডাকাতরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মমিনুল। আর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সিভিক ভলান্টিয়ারের। আহতদের দ্রুত নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। হইচই কাণ্ডের মধ্যেই বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে অকুস্থলে হাজির হন চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু। দুষ্কৃতীদের ধরতে এলাকায় নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ। তবে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বোমাও মারা হয় বলে সূত্রের খবর।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম মমিনুল হক। ডাকাতি আটকাতে গিয়েই তিনি খুন হন। গুলি করা হয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ জখমদের চিকিৎসার জন্য চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় তদন্ত করতে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে তথ্য নেয়। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মালদা থেকে ওই ডাকাতদল বিহারে পালিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একমাসে আগে এমনই ঘটনা ঘটেছিল ব্যারাকপুরে। গুলি লেগে প্রাণ গিয়েছিল দোকান মালিকের ছেলের। এবার ঘটনাস্থল মালদা।