একদিকে মালদায় বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের বাড়ির কাছেই শুটআউটের ঘটনা ঘটেছে। আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মালদার ভূতনি থানার অন্তর্গত হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবর্ধনটোলা এলাকায় কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সচিবকে বলে অভিযোগ। হোলির দিন কুপিয়ে খুন করা হল পঞ্চায়েত সচিবকে বলে অভিযোগ উঠেছে। এখন এই খবর চাউর হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। পঞ্চায়েত সচিবের হত্যার নেপথ্যে জমি বিবাদ আছে বলে মনে করছে পুলিশ।
এখানে জমি নিয়ে পঞ্চায়েত সচিবের সঙ্গে বিবাদ ছিল আর একটি গোষ্ঠীর। সেই বিবাদ চরমে উঠেছিল। তাই শনিবার বিকেলে ওই জমি বিবাদ নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। তখনই ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয় কমল মণ্ডল নামে পঞ্চায়েত সচিবকে। নিহত কমল মণ্ডল ভূতনি থানার দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব। দুই গোষ্ঠীর ব্যাপক সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। একের পর এক কোপ মারতে থাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই পঞ্চায়েত সচিব। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে কৃষকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার জমিতেই, পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, তদন্তের দাবি শওকতের
এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন ধরেই ওই পঞ্চায়েত সচিবের পরিবারের সঙ্গে তাঁর ভাই ফেকন মণ্ডলের পরিবারের জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। সেটা যে খুনের দিকে মোড় নেবে কেউ ভাবেননি। ঝগড়া–অশান্তি হতো ওই জমিকে কেন্দ্র করে। আবার তা পরে মিটেও যেত। এবার শনিবার সেই বিবাদই চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল। দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় ধারাল অস্ত্র দিয়ে দাদা তথা পঞ্চায়েত সচিবকে কোপাল ভাই বলে অভিযোগ। কমল মণ্ডল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এই ঘটনার এখন তদন্ত করছে পুলিশ।
কমল মণ্ডল খুন হলেও ৬ জন আহতও হযেছে। যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখন সকলে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আর বাকিরা আছেন স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এই ঘটনার কয়েক মাস আগে এই মালদাতেই জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। আবার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের গাড়িতে হামলা করা হয়েছিল। এবার মালদায় বিধায়কের বাড়ির সামনে গুলি চলল। তার উপর পঞ্চায়েত সচিব খুন। এসব ঘটনার জেরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।