বেহালার পর এবার মধ্যমগ্রাম থেকে বন্ধ ঘরের মধ্যে উদ্ধার হল মা–মেয়ের মৃতদেহ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আর ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। মধ্যমগ্রামের দোহারিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম মধুমিতা রায় (৩৫)। তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ের দেহও মিলেছে। মধুমিতার স্বামী সুমন রায়কে এখন লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশ অনুমান করছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেই মৃত্যু হয়েছে মা–মেয়ের। যদিও মধুমিতার শরীর থেকে কেরোসিন তেলের গন্ধ মিলেছে। তাহলে কি ওই মহিলার গায়ে ঢালা হয় কেরোসিন তেল? উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে পুলিশ মনে করছে, মৃত্যু নিশ্চিত করে খাবারের সঙ্গে বিষ খাওয়ানো তো হয়েছে এবং গায়ে কেরোসিন তেলও ঢালা হয়েছিল। সব প্রশ্নের উত্তর জানতে মৃত মহিলার স্বামী সুমন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছেন তদন্তকারীরা। গৃহবধূ মধুমিতা রায় (২৫) এবং তাঁর ৫ বছরের মেয়ের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশকে মধুমিতার স্বামী সুমন রায় জানান, তিনি একটি কারখানা কাজ করেন। রোজকার মতো শুক্রবার বিকেলেও স্ত্রীকে ফোন করেন তিনি। কিন্তু কেউ ফোন রিসিভ করেনি। আর যখন তিনি বাড়ি ফেরেন তখন দেখেন দরজা বন্ধ। বহু ডাকাডাকি করার পরও দরজা খোলেনি কেউ।
আরও পড়ুন: তমলুকে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা, জাতীয় সড়কে একই পরিবারের তিনজন সদস্যের মৃত্যু
অন্যদিকে এই ঘটনার পর পুলিশ এসে বাড়ির বিছানা থেকে পাঁচ বছরের মেয়ে এবং রান্নাঘর থেকে প্রিয়াঙ্কার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সাত বছর আগে মধুমিতার সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়েছিল। মধ্যমগ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সুমন–মধুমিতা। স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। যাতে লেখা, ‘মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ তবে এই ঘটনার নেপথ্যে অনটন নাকি দাম্পত্য কলহ, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।