ভূপতিনগরে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তোলপাড় কাণ্ড হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে আরও একজন গৃহবধূর ঘটনায় খুব চাপে পড়ে গিয়েছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। এই গৃহবধূর সঙ্গে অবশ্য ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। বরং ওই গৃহবধূ নিজেই থানায় এসে হাজির হন। আর একটা আর্জি জানান। আর তাতেই কপালে ঘাম দিয়েছে পুলিশ অফিসারের। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে সে কথা কল্পনাও করতে পারেননি পুলিশ অফিসার। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন থানায় থাকা পুলিশ অফিসার।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? শনিবার এক গৃহবধূ স্থানীয় ভূপতিনগর থানায় এসে হাজির হন। পুলিশের কাছে তাঁর আর্জি, ‘স্বামীর সঙ্গে সংসার করব। প্রেমিককেও ছাড়তে পারব না।’ আর সেই ব্যবস্থা পুলিশকে করে দিতে হবে। গৃহবধূর এমন আজব আর্জি শুনে কপালে ঘাম দিতে থাকে পুলিস অফিসারদের। গৃহবধূর এই আর্জি সালিশি সভায় আগেই খারিজ হয়। তাই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। ৩৬ বছরের ওই গৃহবধূ যখন এমন আর্জি জানাচ্ছেন তখন থানায় ছিলেন না ওসি শেখ মহম্মদ মহিউদ্দিন। থানা থেকে ফোন করে তাঁকে বিষয়টি জানানো হলে ওসির নির্দেশে দু’পক্ষকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় শহরের রাজপথে নামছে ১০ হাজার বাড়তি পুলিশ, থাকছে ২০০টি পিকেট
তারপর ঠিক কী ঘটল? থানার বড়বাবু শেখ মহম্মদ মহিউদ্দিন ওই গৃহবধূ ও তাঁর প্রেমিক দু’জনকেই সতর্ক করে ছেড়ে দেন। তবে থানা থেকে ওই গৃহবধূকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে রাজি হননি স্বামী। তখন নতুন করে সম্পর্কে জট পাকিয়ে যায়। নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়। অবশেষে পুলিশের নির্দেশে শ্বশুরবাড়িতে রওনা দেন গৃহবধূ। মুগবেড়িয়া পঞ্চায়েতের অধীন ভূপতিনগর গ্রামের ওই গৃহবধূর এক ছেলে এবং এক মেয়ে আছে। ১৫ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয়। তারপর আবার জীবনে এল প্রেম। এবার তাঁর প্রেমিকও বিবাহিত। তবে দু’জনের সম্পর্ক দ্রুতগতিতে এগিয়ে গিয়েছে। তাই গ্রাম কমিটির কাছে সালিশি সভা ডেকে মীমাংসার আর্জি জানান স্বামী। সেখানে গৃহবধূ এবং তাঁর প্রেমিক দু’জনকেই কড়া ধমক দেওয়া হয়। গ্রামছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয়।