দাসপুর দুই নম্বর ব্লকের খেপুত দক্ষিণবাড় গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণিমা। তাঁর অভিযোগ, জুন মাস থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। এই আবহে নিজেকে 'জীবিত' প্রমাণ করতে প্রশাসনের এক দফতর থেকে আরের দফতরে ঘুরতে হচ্ছে ৩৫ বছর বয়সি গৃহবধূকে।
‘জীবিত’ হয়েও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন না গৃহবধূ
তিনি জীবিত। তবে সরকারের খাতায় নাকি তিনি 'মৃত'। আর এর জেরেই বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে দাসপুরের পূর্ণিমা বারিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। এই আবহে নিজেকে 'জীবিত' প্রমাণ করতে প্রশাসনের এক দফতর থেকে আরের দফতরে ঘুরতে হচ্ছে ৩৫ বছর বয়সি গৃহবধূকে। জানা গিয়েছে, দাসপুর দুই নম্বর ব্লকের খেপুত দক্ষিণবাড় গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণিমা। তাঁর অভিযোগ, জুন মাস থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। (আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে চাপ বাড়াল বিরোধীরা, অবশেষে সরকারি কর্মীদের মুখোমুখি হবেন মুখ্যমন্ত্রী)
রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই মেয়ের টিউশনির টাকা দেওয়ার জন্যে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন পূর্ণিমা। সেই সময় তিনি জানতে পারেন, গত জুন মাস থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢোকেনি। এর আগে মে মাসে শেষবারের মতো সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলেছিলেন পূর্ণিমা। তারপর থেকেই তাঁর অ্যাকাউন্টে আর টাকা ঢোকেনি। মাসে মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ১০০০ টাকা করে তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা। এই আবহে টাকা না পাওয়ার কারণ খুঁজতে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে ব্লক অফিসে ঘুরেছেন তিনি। সেই সময়ই পূর্ণিমা জানতে পারেন, সরকারের খাতায় তিনি 'মৃত'। আর তাই এখন নিজেকে 'জীবিত' প্রমাণ করতে ফের প্রশাসনের বিভিন্ন অফিসে ঘুরতে হচ্ছে তাঁকে।