আইআইটি খড়্গপুরের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সম্প্রতি একের পর এক অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় আইআইটি কর্তৃপক্ষ কোনও এফআইআর দায়ের করেনি। এই তিনজনের মধ্যে দু'জন হলেন পড়ুয়া। তাঁরা হলেন কলকাতার শাওন মালিক ও মহারাষ্ট্রের অনিকেত ওয়াকার। অন্যদিকে, আরও একজন সাকির আলি মোল্লা হলেন জুনিয়র ল্যাব টেকনিশিয়ান। তাঁদের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় এফআইআর দায়ের না করায় সুপ্রিম কোর্টের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল আইআইটি কর্তৃপক্ষকে। তারপরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো এই তিনটি মৃত্যুর ঘটনায় এফআইআর দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিল আইআইটি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ফের IIT খড়গপুরে ছাত্রের রহস্য মৃত্যু, কেন বারবার এমন ঘটনা? গঠিত হচ্ছে কমিটি
জানা গিয়েছে, আইআইটি কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া মহম্মদ আসিফ কামারের মৃত্যুর ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে। গত ৪ মে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আসিফের মৃত্যুর ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল কিনা, তা জানতে চাওয়ার একদিন পরেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
শুক্রবার আইআইটির প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বলেন, ‘আমরা তিনজন ছাত্র এবং একজন জুনিয়র ল্যাব টেকনিশিয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় এফআইআর দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আইআইটি খড়্গপুরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক থাকাকালীন চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই সব ক্ষেত্রে কী করতে হবে সে সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট নির্দেশিকা দিয়েছে। তা মেনে চলা হবে।’ তিনি জানান, আসিফ কামারের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বাকি তিনটি এফআইআর এক-দু'দিনের মধ্যে দায়ের করা হবে।