
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ওয়াটারলু হয়েছে তমলুক। এবার কি রাজ্যের আরও এক আসনে একই পরিণতি হতে চলেছে তাঁর। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে রাজনীতিতে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন সদ্য পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপ্ত সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ। রবিবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে সন্ন্যাসীদের রাজনীতিতে আসার সময় হয়েছে। তবে কি আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির পতাকা হাতে ময়দানে দেখা যাবে তাঁকে? এব্যাপারে অবশ্য এখনই কিছু বলতে নারাজ তিনি।
রবিবার কার্তিক মহারাজ বলেন, ‘সন্ন্যাসীদের অনেকে পিছন থেকে রাজনীতি করছেন। রাজনীতি হল সব থেকে বড় নীতি। কিন্তু এখন রাজনীতি নোংরা হয়ে গিয়েছে। একজন বলছেন আমরা ৭০ শতাংশ। বাকিদের কেটে ভাগীরথিতে ভাসিয়ে দেব। একজন বলছেন সংখ্যা বাড়াও। সনাতনীদের রক্ষা করার জন্য সন্ন্যাসীদের রাজনীতিতে আসার সময় হয়েছে। তবে যে দল দেশের সংবিধান রক্ষা করবে, সনাতনীদের পাশে দাঁড়াবে, আমি তাদের পাশে থাকব।’ কার্তিক মহারাজের কথায় স্পষ্ট, বিজেপির দিকেই ইঙ্গিত করছেন তিনি।
২০২১ সালের ২০ মে লোকসভা ভোটের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে যে জায়গায় ভোটের ২ দিন আগে দাঙ্গা হয়েছিল সেখানে ওঁর আশ্রম। উনি আশ্রম চালান আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আমি যখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম ওখানে ইলেকশন এজেন্ট নেই কেন? তখন আমাকে বলা হল, কার্তিক মহারাজ বলে দিয়েছেন তৃণমূলের এজেন্টকে আমরা বসতে দেব না। ওখানে ছানার ব্যবসায়ী কিছু লোককে খেপানো হয়েছে। খবর আমিও রাখি। এলাকায় এলাকায় গিয়ে ধর্মের নামে আপনি বিজেপি করে বেড়ান। আমি বলছ আপনি বিজেপি করুন কিন্তু বিজেপির চিহ্নটা বুকে লাগিয়ে করুন। লুকিয়ে লুকিয়ে কেন? তাই আমি বলেছি, আমি যেটা বলি সেটা বিনা প্রমাণ বলি না। আমাদের রাজ্য বাংলা সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হবে না! ভোটের ২ দিন আগে দাঙ্গা করিয়ে দেবে, তাদের আমি ছেড়ে দেব?’
এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও একই রকম চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিল তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিচারপতির পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে তমলুক আসন থেকে প্রার্থী করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই আসনে দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করে তৃণমূল। ভোটের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় অভিজিৎবাবুর কাছে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর। ফের একবার কি তেমনই কোনও পরিণতি অপেক্ষা করে রয়েছে তৃণমূলের জন্য?
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports