বেধড়ক মারধর করে বিক্ষোভকারীরা। অসহায় অবস্থা পুলিশের দেখতে পাওয়া যায়। এই অশান্তির মাঝেই আইসি বদল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। গত বুধবার রাতে থানায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের ধরপাকড় করতে গিয়ে এক যুবককে পুলিশ গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরেই কালিয়াগঞ্জ থানার আইসিকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হল।
কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি বদল
এবার বদলি করা হল কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দীপাঞ্জন দাসকে। দীর্ঘ টালবাহানার পর তাঁকে বদলি করা হল। কারণ কালিয়াগঞ্জই এখন রাজ্য–রাজনীতিতে সরগরম ইস্যু। তিনটি ঘটনা এখানে ঘটেছে। যার ফলে ব্যাকফুটে পুলিশ। আর তার জেরে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে রাজ্য সরকারের। এই পরিস্থিতিকে কমব্যাট করতে কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দীপাঞ্জন দাসকে বদলি করে পাঠানো হল শিলিগুড়ি জিআরপি থানায়। আজ, শুক্রবারই কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দীপাঞ্জন দাসকে বদল করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
এদিকে শিলিগুড়ি জিআরপির ইনস্পেক্টর সুবলচন্দ্র ঘোষকে নিয়ে আসা হল কালিয়াগঞ্জ থানার আইসির দায়িত্বে। এখানে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। তারপর থানা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। যা ঠেকাতে পারেনি পুলিশ। আবার পুলিশের গুলিতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এইসব মিলিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। জেলা থেকে কলকাতার রাজপথে আন্দোলনের আঁচ পড়ে। এই পর পর ঘটনাকে ঘিরে গত শুক্রবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ।
অন্যদিকে আজ,শুক্রবার এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) এই রদবদলের নির্দেশ জারি করেন বলে খবর। অশান্তির সূত্রপাত হয় কালিয়াগঞ্জ এলাকায়। একের পর এক ঘটনা ঘটলেও কেন কমব্যাট করা গেল না? পুলিশ মহলেই এই প্রশ্ন উঠতে থাকে। পুলিশের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী নেতারা। এলাকার মানুষজনও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতেই বোঝা যায় ক্ষোভ বাড়ছে। আর তখনই একাধিক পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার সরাসরি আইসি–কে বদল করা হল। আগে চার পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হতেই অশান্তি চরমে ওঠে।