বিজেপি–সিপিএম এখানে এসে ঘুরে গিয়েছে। পারেনি শুধু কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রীরা পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করেন। মানুষের অভাব–অভিযোগ শোনেন। সেই ছবি সব সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়েছে। সেখানে হঠাৎ নওশাদ সিদ্দিকীর যাওয়া এবং গ্রেফতার হওয়া বড় খবর। প্রিজন ভ্যানে ঠেলে ঢোকানো হয় আইএসএফ বিধায়ককে।
গ্রেফতার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
আজ, মঙ্গলবার গ্রেফতার হলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। কারণ ১৪৪ ধারা ভাঙেন তিনি। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে সায়েন্স সিটির কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য রওনা হন আইএসএফ বিধায়ক। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৬২ কিলোমিটার দূরে আইএসএফ বিধায়ককে ১৪৪ ধারা দেখিয়ে আটকায় পুলিশ বলে অভিযোগ। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে নওশাদ সিদ্দিকীর দাবি, তাঁর সঙ্গে চারজনের বেশি লোক ছিল না। প্রিজন ভ্যানে তুলে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় নওশাদকে।
এদিকে এবার প্রথমে যাওয়ার পথে বাধা পান নওশাদ সিদ্দিকী। সন্দেশখালি যাওয়ার পরিকল্পনা করে সেই পথে রওনা দেন তিনি আজ সকালে। কিন্তু সায়েন্স সিটির কাছে আটকে দেওয়া হয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে। মঙ্গলবার সন্দেশখালি যাওয়ার কর্মসূচি তখনই ভেস্তে যায় আইএসএফ বিধায়কের। কিন্তু সায়েন্স সিটির কাছে তাঁকে আটকানো হলে পুলিশের সঙ্গে সরাসরি বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন নওশাদ। আর চরমে ওঠে বচসা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তখনই গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ বিধায়ককে। এই ঘটনা নিয়ে এখন যথেষ্ট উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। নওশাদের অনুগামী থেকে শুরু করে আইএসএফ কর্মীরা তেতে উঠেছেন।
অন্যদিকে গ্রেফতার হতেই সুর চড়িয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী। ওই পরিস্থিতিতেই আজ সাংবাদিকদের সামনে আইএসএফ বিধায়ক বলেন, ‘কোন গ্রাউন্ডে গ্রেফতার করা হল জানানো হয়নি। যেখানে মন্ত্রীরা ঘুরছেন, সেখানে অসুবিধা নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যাচ্ছেন অসুবিধা হচ্ছে না। আমি গেলেই যত সমস্যা। আর ১৪৪ ধারার কোনও নোটিশও দেখাতে পারেনি এরা। আজ আমার দু’টো কর্মসূচি আছে। একটা রয়েছে সন্দেশখালিতে। আর একটা বাসন্তীতে। কীসের এত তৎপরতা?’ সন্দেশখালি ইস্যুকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল আইএসএফ। সেখানে যাতে উত্তেজনা তৈরি না হয় তাই এই গ্রেফতার বলে মনে করা হচ্ছে।