উনি রাস্তায় নামছে, আন্দোলন করছেন, নির্যাতিতার বিচার চাই। এদিকে উনি আন্দোলন বন্ধ করারও চেষ্টা করছেন। এরকম দ্বিচারিতা কেন করছেন উনি?
Ad
মুখ্যমন্ত্রী কি জনগণকে ভয় পাচ্ছেন? নিষেধাজ্ঞার শহরে প্রশ্ন তুললেন কন্যাহারা পিতা
আরজি করে নিহত মহিলা চিকিৎসকের সুবিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি জনগণকে ভয় পাচ্ছেন? প্রশ্ন তুললেন নিহত চিকিৎসকের বাবা। শনিবার রাতে আরজি কর চত্বরে প্রতিবাদ কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও রবিবার যুবভারতীর সামনে প্রতিবাদীদের ওপর পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জের ঘটনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাথা বলেন তিনি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন।
রবিবার বিকেলে নিহত চিকিৎসকের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনি এত কথা বলছেন। উনি রাস্তায় নামছে, আন্দোলন করছেন, নির্যাতিতার বিচার চাই। এদিকে উনি আন্দোলন বন্ধ করারও চেষ্টা করছেন। এরকম দ্বিচারিতা কেন করছেন উনি? তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কি জনগণকে ভয় পাচ্ছেন? মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় আমরা অসন্তুষ্ট।’
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন নিহত চিকিৎসকের বাবা। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত তদন্তের কোনও ফল পাইনি। সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে আমার কোনও কথাই হয়নি। সই করার দরকার হলে ওনার অফিসে ডেকে পাঠিয়েছেন মাত্র। বিভাগের বা কলেজের কেউ আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি। পুরো ডিপার্টমেন্ট এতে জড়িত। বাবা - মায়ের দুশ্চিন্তা হবে এমন কোনও কথা মেয়ে বাড়িতে বলত না। বিভাগের কেউ না কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ কমিশনার আমাদের একটু শান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। উনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু আমরা আস্থা রাখতে পারিনি। তাই সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছি।’
আরজি করের নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে বিক্ষোভ হতে পারে, এই ভয়ে রবিবার যুবভারতী স্টেডিয়ামে ডুরান্ড কাপের ডার্বি ম্যাচ বাতিল করে দিয়েছে বিধাননগর পুলিশ। তার পরেও এদিন বিকেলে স্টেডিয়ামের কাছে জড়ো হয়ে একযোগে বিক্ষোভ দেখান ইস্ট বেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা। যদিও তার আগেই ওই এলাকায় BNS এর ১৬৩ ধারা (IPC 144) জারি করে বিধাননগর পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা স্টেডিয়াম থেকে ২০০ মিটার দূরে থাকলেও পুলিশ তাদের ওপর নির্বিচারে লাঠি চালায় বলে অভিযোগ।