
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
‘তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি’ নিয়ে জটিলতা রয়েছে। আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার জল বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ বাংলাকে এড়িয়ে ‘ফরাক্কা–গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি’ নবীকরণে এগিয়েছে ভারত। এই নিয়ে নয়াদিল্লিতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্য সরকারকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে এবার দুই বাংলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত খুলে যেতে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগী হয়ে এই কাজে সাড়া দিয়েছেন।
এবার কলকাতা–চট্টগ্রামের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। তাতে দুই বাংলার মধ্যে যোগাযোগের আরও উন্নতি ঘটবে। বাংলাদেশ সরকার এই নতুন রুটে আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা চালানোর আবেদন জানায়। তাই গত মে মাসে বিদেশ মন্ত্রক এই বিষয়টি নিয়ে লিখিতভাবে নবান্নের মতামত জানতে চায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক আছে। আর তারই ভিত্তিতে দুই নেত্রীর দ্বিপাক্ষিক সমীকরণ অটুট। তাই চট্টগ্রাম–কলকাতা বাস রুট এবার চালুর প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুতরাং এই বাস পরিষেবা চালু হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব’, ফোঁস করলেন বোস, খোঁচা তৃণমূলের
নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা বিদেশ সচিবকে চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন, চট্টগ্রাম–কলকাতা নতুন বাস রুট চালুর প্রস্তাবকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। আগে রাজ্যের পরিবহণ সচিব হিসেবেও কাজ করেছেন বিপি গোপালিকা। তাই দেশের পণ্য পরিবহণে নয়া দিগন্ত খুলতে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বিশেষ করিডর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সেটা এখন ভেবে দেখছেন বিদেশ সচিব। এখন নানা পণ্য উত্তর–পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে পৌঁছতে গেলে শিলিগুড়ি হয়ে যেতে হয়। সুতরাং দেড় হাজার কিলোমিটার পথ বাড়তি পাড়ি দিতে হয়। আর সুনির্দিষ্ট করিডর চালু হলে সেই দূরত্ব ৬০০ কিলোমিটার কমে যাবে।
এখন কলকাতা থেকে তিনটি আন্তর্জাতিক বাস রুট চালু আছে। কলকাতা–ঢাকা, কলকাতা–খুলনা এবং কলকাতা–আগরতলা ভায়া বাংলাদেশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানায়, কলকাতা যাওয়ার যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এটা লক্ষ্য করেই চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা যাওয়ার বাস চালু করা হোক। তখনই বিদেশমন্ত্রক সক্রিয় হয়ে ওঠে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেতও মিলেছে বলে সূত্রের খবর। এখন শুধু আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মেনে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তারপরই সব ঠিক হবে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports