পুলিশ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। যেটা দেখা গিয়েছে, কসবায় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে হত্যার চেষ্টার ছকের পর। পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং সাংসদ সৌগত রায়। একমাত্র এই কঠিন পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছেল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে। আর তারপরই গত ২৪ ঘণ্টায় বেআইনি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। বাংলার নানা প্রান্তে হানা দিয়ে মোট ৯টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। আর তার জেরে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একের পর এক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে।
মুঙ্গের থেকে বাংলায় বেআইনি অস্ত্র ঢুকছে বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। কসবা কাণ্ডে সেই অভিযোগে যেন সিলমোহর পড়েছে। খোদ কলকাতা পুলিশ তদন্তে নেমে এই তথ্য পেয়েছে। আততায়ীদের হাতে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে যাওয়ায় চাপ বাড়ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে। তাই ধরপাকড় শুরু হয়। আর গত ২৪ ঘণ্টায় বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবার, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে অভিযান চালায় পুলিশ। এমনকী বনগাঁয় পর্যন্ত অভিযান চালায় সিআইডির বিশেষ অপারেশন গ্রুপ। ধরপাকড় করা হয় হাওড়া কমিশনারেট এলাকাতেও। আর তারপরই ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে তারা।
আরও পড়ুন: সংগঠনে রদবদল নিয়ে সুব্রত বক্সি–অভিষেক বৈঠক, চূড়ান্ত রিপোর্ট দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে
এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি সবই বেআইনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বাংলা হয়ে দেশের অন্যান্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। এই তথ্য থেকেই স্পষ্ট বাংলা এখন আর সেফ জোন নেই। এখানেও আততায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। তাই পুলিশও এবার পাল্টা সক্রিয় হয়েছে। আর কোমর বেঁধে অভিযানে নামতেই মিলল সাফল্য। সম্প্রতি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের বিপরীতে ব্যস্ততম বৈঠকখানা রোডে উদ্ধার হয় ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৯০ রাউন্ড কার্তুজ। মহম্মদ ইসমাইল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিহার যোগ ছিল। তাই বিহারেও অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ।