এবার আবার এক পুলিশ অফিসারের স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু সামনে এল। পুলিশ অফিসারের স্ত্রী একঘরে পড়ে আছে। আর পাশের ঘরে পড়েছিল অচৈতন্য অবস্থায় দুই পুত্রসন্তান। ওই দুই সন্তানের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর একজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সকলকেই উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ প্রশ্ন উঠছে, এটা খুন নাকি আত্মহত্যা। পুলিশের বাড়িতেই এমন কাণ্ড দেখে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ, শনিবার এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে হাওড়ায়।
এদিকে শুক্রবার বেশি রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুরের ব্যাতাইতলা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। খুন নাকি আত্মহত্যা—এটাই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। ওই মহিলার সঙ্গে আসলে কী হয়েছে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। এটা যদি খুন হয়ে থাকে তাহলে কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত, উদ্দেশ্য কী? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মহিলা সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাওড়া স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে, একাধিক বদল নতুন বছরই নিয়ে আসছে কর্তৃপক্ষ
অন্যদিকে রোজকার মতোই শুক্রবার সন্ধ্যায় রুবি ঝাঁ তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন। রাতে ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরেন হাওড়া সিটি পুলিশের অফিসার প্রদীপ ঝাঁ। আর প্রদীপবাবু যখন বাড়ি ফেরেন তখন দেখেন বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করেন পুলিশ কর্তা। প্রথমে তাঁর মনে হয়েছিল শীতের রাতে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। কিন্তু অনেকটা সময় কেটে গেলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে থানায় খবর দেন প্রদীপ ঝাঁ। পুলিশ তখন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবার ডাকাডাকি শুরু করে। কিন্তু সাড়াশব্দ মেলেনি।