1 মিনিটে পড়ুন Updated: 11 Mar 2023, 10:05 AM ISTAyan Das
HS Exam 2023: আগামী মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) থেকে এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এবার উচ্চমাধ্যমিকে মোবাইল ফোন রুখতে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে রাজ্য জয়েন্টের ধাঁচে পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
আগামী ১৪ মার্চ থেকে এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষায় আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইলের ব্যবহার রুখতে এবার উচ্চমাধ্যমিকেও ‘পাইলট’ প্রজেক্ট হিসেবে সেই ‘রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর’ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তবে সব কেন্দ্রে ওই ‘রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর’ (আরএফডি) ব্যবহার করা হচ্ছে না। আপাতত অতি স্পর্শকাতর কেন্দ্র সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
শুক্রবার সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘অতি স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রথমবার রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর (আরএফডি) ব্যবহার করা হচ্ছে। সব স্পর্শকাতর কেন্দ্রেই আপাতত (ওই প্রযুক্তি) ব্যবহার করা হচ্ছে না। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে একাধিক জেলার অতি স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ড আরএফডি ব্যবহার করে।’
সংসদ সভাপতি: এবার উচ্চমাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮,৫৫,০০০। যা গতবার ছিল ৭,৪৫,০০০। এবার ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার বেশি। রাজ্যের সব জেলায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। উচ্চমাধ্যমিকের মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৪২.৫৭ শতাংশ ছাত্র (গতবার ছিল ৪৫.২১ শতাংশ)। শতাংশের বিচারে ছাত্রীদের সংখ্যা ৫৭.৪৩ শতাংশ (গতবারের উচ্চমাধ্যমিকে ছিল ৫৪.৭৯ শতাংশ)।
সংসদ সভাপতি: ২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিকে মোট মেন ভেন্যু বা সেন্টারের সংখ্যা ৮৩৫। মোট পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ২,৩৪৯। এবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মোট ২০৬ টি ভেন্যুকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যের ভিত্তিতে স্পর্শকাতর কেন্দ্রের সংখ্যা নির্ধারণ করেছে সংসদ। মালদায় স্পর্শকাতর কেন্দ্রের সংখ্যা সবথেকে বেশি।
প্রতিটি স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে ‘মেটাল ডিটেক্টর’ থাকবে। পরীক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিকস গ্যাজেট আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। এবার প্রথম সব স্পর্শকাতর কেন্দ্রে ‘মেটাল ডিটেক্টর’ ব্যবহার করা হচ্ছে।