তড়িঘড়ি নাগরদোলা থামিয়ে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে এসএসকেএমএ নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
ছোট থেকেই নাগরদোলা চড়তে ভালোবাসতেন তিনি। গাজনের মেলায় সেই নাগরদোলা চড়তে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বাঁকুড়া সদর থানা এলাকায় এক্তেশ্বরে। বৈদ্যুতিন নাগরদোলার স্ক্রুতে খোলা চুল জড়িয়ে মাথা থেকে খুলি আলাদা হয়ে যায় এক যুবতীর। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল তাঁকে এসএসকেএমএ-স্থানান্তরিত করতে বলে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় যুবতীর। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
মৃত তরুণীর নাম প্রিয়াঙ্কা বাউড়ি (২০)। বাড়ি বাঁকুড়ার ২ নম্বর ব্লকের ভাদুল গ্রামে। কয়েকজনের সঙ্গে এক্তেশ্বরে গাজনের মেলায় গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। মেলায় তিনি নাগরদোলা চড়েন। চুল খোলা অবস্থাতেই নাগরদোলায় ওঠেন তিনি। সেটি উপরে ওঠা মাত্রই তাঁর চুল স্ক্রুতে জড়িয়ে যায়। নাগরদোলায় গতি থাকায় মাথার খুলি উপড়ে যায় প্রিয়াঙ্কার যন্ত্রণায় তিনি চিৎকার করতে থাকেন।
তড়িঘড়ি নাগরদোলা থামিয়ে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে এসএসকেএমএ নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁকে স্থানান্তর করার সময় অ্যাম্বলেন্সেই প্রিয়াঙ্কার মৃত্যু হয়।
যুবতীর বাবা স্থানীয় কোল্ড স্টোরেজের কর্মী। মা গৃহবধূ। বাবা-মার একমাত্র সন্তান প্রিয়াঙ্কার মৃত্যু শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে।