খাস কলকাতায় চাকরি করেন কৌশিকবাবু। তিনি বেসরকারি বিমা সংস্থার কর্মী। তাই কলকাতাতেই বেশি সময় কাটাতে হয় কাজের সূত্রে। এই ব্যক্তির পুরো নাম কৌশিক লাহিড়ী। অফিস হচ্ছে হার্ট অফ দ্য সিটি—গড়িয়াহাট। কর্মসূত্রে পুরীতে গিয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। আর তারপরই মোটা টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে তাঁর স্ত্রী সুচিস্মিতা লাহিড়ীর কাছে। গোটা পরিবার তখন টেনশনে কাঁপছে। খাওয়া–দাওয়া মাথায় উঠেছে। কী করবেন? বুঝে উঠতে পারছেন না কৌশিকবাবুর স্ত্রী সুচিস্মিতা।
প্রচণ্ড টেনশন নিয়ে কৌশিকবাবুর স্ত্রী সুচিস্মিতা দেবী অপহরণের ঘটনা জানাতে পৌঁছে গেলেন রবীন্দ্র সরোবর থানায়। সেখানে গিয়ে স্বামীর অপহরণের অভিযোগ লিখিত আকারে দায়ের করেন সুচিস্মিতা দেবী। থানায় বসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। পুলিশকে বলতে থাকেন, ‘অফিসার আমার স্বামীকে ফেরত পাওয়া যাবে তো! একটু দেখুন প্লিজ’। পুলিশ তাঁকে শান্ত করে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে পুলিশ তদন্ত শুরু চালায়। আজ, বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে কৌশিক লাহিড়ীকে উদ্ধার করে পুলিশ। আর এই অপহরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহেশতলায় যুবককে চোর সন্দেহে গণপিটুনি, লাঠি–ধারালো অস্ত্রের কোপে খুনের অভিযোগ
চলতি মাসের ২২ জানুয়ারি কাজের সূত্রে পুরী যান বছর কৌশিক লাহিড়ী। মাঝবয়সী ওই ব্যক্তি সেখান থেকে অপহৃত হন। আর সেটা তাঁর স্ত্রী সুচিস্মিতা জানতে পারেন মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসার পর। বুধবার বিকেলে কৌশিকবাবুকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে থানায় অভিযোগ জানান স্ত্রী সুচিস্মিতা দেবী। কৌশিকবাবুর স্ত্রীকে ফোন করে ১৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। যা শুনে কেঁপে উঠেছিল সাড়া শরীর। ভয় পেয়ে ৫০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন কৌশিকবাবুর স্ত্রী। সে কথাও থানাকে জানানো হয়। রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করার সময় সবটা জানান তিনি। তদন্তে নেমে ওই বিমা সংস্থার কর্মীর মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ। সিট গঠন করা হয়।