আইআইটি খড়গপুরের তৃতীয় বর্ষের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ফায়জান আহমেদের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল ৪ ছাত্রের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় আত্মসমর্পণ করল ওই ৪ ছাত্র। তবে খড়গপুর আদালত ৪ জনকে জামিন দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ফায়জানকে তারা একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বলেছিল। কিন্তু, তাতে অস্বীকার করেছিল ছাত্রটি। এর পরেই ওই ৪ জন ফায়জানের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার পাশাপাশি তাঁকে গালিগালাজ করেছিল। ফায়জানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত নেমে পুলিশ খড়গপুর আইআইটির ওই ৪ ছাত্রের নাম জানতে পারে। ঘটনায় ছাত্ররা আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।
খড়গপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী বন্দনা ঘোষ বলেন, অভিযুক্ত ছাত্ররা ১ মার্চ এবং ২ মার্চ খড়্গপুর মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিল। আদালত তাদের জামিন দিয়েছে। ফায়জানের মৃত্যুর ঘটনায় খড়গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি এফআইআর রুজু করেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফায়জান আইআইটি কর্তৃপক্ষকে একটি ইমেইল করেন। তাতে ওই ৪ ছাত্রের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়। এমনকী ওয়ার্ডেন এবং সহকারী ওয়ার্ডেন এনিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ তোলা হয়। তার ভিত্তিতে ৪ জন আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর আইআইটি খড়্গপুরের লালা লাজপত রায় হলের একটি ঘর থেকে ফায়জান আহমেদের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তারপরেই অসমের তিনসুকিয়া থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এসে ছেলেকে খুনের অভিযোগ করেছিলেন ফাইজানের বাবা মা। প্রথমে মৃতদেহটি ফায়জানের বলে অস্বীকার করে তাঁর পরিবার। পরে তাঁরা দেহটি শনাক্ত করে।