দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার পুরপ্রধানকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক তথা পানিহাটির স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষের দফতর থেকে ফোন করে মলয় রায়কে পদত্যাগের নির্দেশ দেন তিনি। আর এই খবর ছড়াতেই বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওদিকে পুরমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ তিনি করবেন না বলে মলয়বাবু জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন - ‘ওদের মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ফেলব’, শুভেন্দুর মন্তব্যে বিতর্ক
পড়তে থাকুন - 'বসিরহাটের হিন্দুদের অবস্থা সিরিয়ার খ্রিস্টানদের মতো'
সোদপুরের অমরাবতী মাঠ বেআইনিভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মলয়বাবুর বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে পানিহাটিতে তৃণমূলের অন্দরে দ্বন্দ চলছিল। সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক ছিল পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। সেই বৈঠকে অমরাবতী মাঠ বিক্রি করে দেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে বলে খবর। এর পরই মঙ্গলবার বিধানসভা থেকে নির্মল রায়কে ফোন করেন ফিরহাদ।
ওদিকে তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মলয়বাবুর বয়স হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ। কিডনিতে সমস্যা থাকায় তাঁকে নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হয়। তার জেরে নিয়মিত পুরসভায় আসতে পারেন না তিনি তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওদিকে পদত্যাগের নির্দেশ পাওয়ার পরে মলয়বাবু বলেছেন, আমি কী এমন করেছি যে ইস্তফা দিতে হবে? আমি পুরমন্ত্রীর নির্দেশে ইস্তফা দেব না।
আরও পড়ুন - নারায়ণগড় TMC পার্টি অফিসে ‘ধর্ষণ’,মহিলাকে উদ্ধারকারী যুবককেই গ্রেফতার করল পুলিশ
ওদিকে মলয় রায় সরছেন ধরে নিয়েই পানিহাটির নতুন পুরপ্রধান কে হবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। নতুন পুরপ্রধান হিসাবে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমনাথ দের নাম নিয়ে চর্চা করছেন অনেকে।